জন্ম থেকেই ক্রীড়াঙ্গন মাঠ সমস্যা নিয়ে ভূগছে। পুরানা পল্টনে হকি স্টেডিয়াম হবার পরত খেলোয়াড়দের অনুশীলন করার যায়গাটুকুও উধাও হল। আমরা পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি তবে ক্রীড়াঙ্গনের ডিসিশন মেকাররা এখনও পাকিস্তানকে অনুকরণ আর অনুসরণ করেই যাচ্ছে। বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পাকিস্তান দোকানসহ তৈরি করে। এই দোকানসহ স্টেডিয়াম পৃথিবীর আর কোথাও নাই এমনকি যে পাকিস্তানীরা বানাল তাদের দেশের কোথায়ও দোকানসহ স্টেডিয়াম নাই। আমাদের ক্রীড়াকর্তারা দোকান থেকে সালামি, ভাড়া এ সব পাওয়ার আনন্দে মওজ মস্তির ঠেলায় ক্রীড়া পরিবেশ যে বাঁশ খাচ্ছে তা উপেক্ষাই করছে। ৫২টি ক্রীড়া ফেডারেশন এর মধ্যে ফুটবল আর ক্রিকেট বাদে আর সব ফেডারেশন দিন আনে দিন খাই অবস্থা। স্টেডিয়ামের এক দোকানের সেলামি আর ভাড়া এর থেকে প্রতিটি ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দে রাখাই যায়।
আমাদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আছে, এনারা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর ফেডারেশনগুলোর মধ্যে র সুয়েজ খাল, বিশ্বের সর্বত্র ফেডারেশন আর মন্ত্রনালয়। এই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সৃষ্টি জেনারেল এরশাদের। এই ক্রীড়া পরিষদ আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুটোর কাজত একই, ক্রীড়া পরিষদে সব মিলিয়ে ৮০০ শত কর্মকর্তা/ কর্মচারি, এই বিপুল লোক বল সাথে আবার ফেডারেশনের লোকবল এত এত থাকতে সব খেলাতেই ফলাফল হা-হতোষ্যি। যে কোন খেলাতে ভাল করার পর কন্টিনিউটির অভাব, কারণ মনিটরিং শূন্য। শূন্য দর্শক উপস্থিতি। দুই জন সংসদ সদস্য মুর্তুজা আর সাকিব , সদস্য করা হয়েছ্ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির।
দুই জনই ক্রিকেটের। পাপন সাহেব তিনিও ক্রিকেটের। এখন ক্রিকেটেরই যুগ এর নীচে অলরেডি সব খেলাই চাপা পরেছে, যদিও মুর্তুজ আর সাকিব ক্রিকেটের মানুষ তবে এই ক্রীড়াঙ্গন স্মুথ এজ সিল্ক এমন চমৎকার করতে হলে সব ফেডারেশনের অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বদের সাথে সুযোগ মতন আলোচনা জরুরি।
ক্রীড়ার সব খেকে বড় অভাব- মাঠ ।একমাত্র বসুন্ধরা তারা তাদের নিজস্ব মাঠ প্রস্তুত করেছে। এই কাজটি করে দেশে সামনে এক বিস্ময়কর উপমা উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা। এক সময়ের কৃতি হকি খেলোয়াড় জনাব শাহ আলম এশিয়ার শ্রেষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেও ভূলে যান নাই ক্রীড়াকে, বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়া মহলে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করলেন। স্টেডিয়াম পারার কর্তারা চেয়ারে বসলে আর নট নরন চরণ, নূতনত্ব দেবার আর ক্ষেমতা নাই, নজরুলের সেই কথা, দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি আগের মতন গোলাপ ফুল, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ফেডারেশন কর্তা, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এদের পাসপোর্ট চেক করুন, ভিসার ঠেলায় ডিকশনারির মতন মোটা-এর মেক্সিমাম এর বিদেশ ঘুরা অপ্রয়োজনীয়।
ক্রীড়াঙ্গন হল সুস্থ্য সবল সুন্দরের প্রতিক। আমরা কি দেখছি? বহু দিন এ ক্রীড়াঙ্গনে। লিখলাম। আর কত অনাসৃষ্টি দেখব। দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি তাই যাহা আছে কই মুখে- কবি নজরুল কি আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের এই হালচাল আগেই অনুধাবন করে লিখেছিলেন?
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
পথরেখা/আসো