• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১২

স্পন্সর নিয়ে কেন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বিসিবি

পথরেখা অনলাইন : কয়েক মাস স্পন্সরবিহীন থাকার পর হতাশা কেটে এবার আশার আলো ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। বেসরকারী মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান রবি আবারও ফিরেছে ক্রিকেট দলের স্পন্সর হিসেবে। কিন্তু মাঝের সময়টাতে কেন কোন স্পন্সর ছিলনা, এই প্রশ্ন সাধারন ক্রিকেটপ্রেমির। এছাড়া কেন কঠিন সময়ের মুখেঅমুখি হতে হলো সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে। বর্তমানে সহজেই স্পন্সর পাচ্ছিল না বিসিবি। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে স্পন্সর নেই বাংলাদেশ দলের। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে টেস্ট সিরিজ, ফিরতি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্পন্সর ছাড়াই খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-তাওহিদ হৃদয়রা। একটু দেরি হলেও অবশেষে পুরোনো বন্ধু মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবিকে স্পনসর হিসেবে পেয়েছে বিসিবি। রবি আগামী সাড়ে তিন বছরের জন্য বিসিবির স্পন্সর-স্বত্ব পেয়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃষ্ঠপোষকের নাম ঘোষণা করেছে বিসিবি। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু এবং রবির হেড অব মিডিয়া গাজী ইমরান আল আমিন। বিসিবির সঙ্গে রবির যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী মাসের শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে।
 
বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২৭ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ। গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর স্পনসরশিপের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। জানা গেছে, দরপত্রে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই স্পন্সর হতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে আগ্রহী হয় রবি। এবার চুক্তির অর্থের অঙ্কটা ৫০ কোটি টাকা বলে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। অথচ ২০১৭ সালে রবির সঙ্গে বিসিবির সবশেষ চুক্তি ৬০ কোটি পেরিয়েছিল। বাংলাদেশের ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় দলের পাশাপাশি ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্পন্সর হিসেবে থাকবে রবি। এর আগে ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিসিবির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল রবি। যদিও শেষ চুক্তিটির মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত।
 
সে সময় মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই সেবার সরে এসেছিল রবি। তার কারণ ছিল, তারকা ক্রিকেটাররা রবির বাইরে অন্য মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত ও বিজ্ঞাপনী চুক্তিতে কাজ করছিলেন। আপত্তি তুলে সরে যায় রবি। এবার বিসিবি-রবির ইনিংস কত দূর যায়, সেটিই দেখার। এদিকে কেন বিসিবির স্পন্সর পাওয়া কঠিন হচ্ছে সেই প্রশ্নও এখন তুলেছেন অনেকেই। যে দেশে ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের নিয়ে এত উন্মাদনা, সেখানে বাজারে ক্রিকেট পণ্য বিপণনে উঁচু দরই পাওয়ার কথা। তবু বিসিবিকে জাতীয় দলের স্পন্সরশিপের চুক্তি করতে হচ্ছে আগের চেয়ে কম অঙ্কে। অথচ এখন প্রতিটি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। স্বাভাবিকভাবেই বিসিবিকে প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে, ক্রিকেট নামক পণ্যের বিপণন কি তারা ঠিকঠাক করতে পারছে? মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একটু ব্যতিক্রম উপায়ে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সঙ্গে নতুন করে সাড়ে তিন বছরের চুক্তি ঘোষণা করেছে বিসিবি।
 
সময়েল হিসেবে আগেরবার (২০১৭-১৯) রবি যেখানে ৬১ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল, এবার সেটি ৫০ কোটি। বিসিবির কর্মকর্তাদের তাই বলতে হয়েছে, দিনে দিনে সব পণ্যের দাম বাড়লেও বিসিবির সঙ্গে রবির চুক্তির অঙ্ক কেন কমে গেল? উত্তরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা আকর্ষণীয়ই মনে হয়েছে।’ বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান তানভীর আহমেদ অবশ্য সবশেষ দারাজের সঙ্গে বিসিবির চুক্তির বিষয়টি সামনে এনেছেন, ‘সর্বশেষ ক্রিকেট দলের স্পনসর দারাজের সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তির অঙ্ক ছিল ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এবার রবির সঙ্গে সাড়ে তিন বছরে ৫০ কোটি টাকা। দারাজের তুলনায় ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেড়েছে।’ দারাজের চেয়ে রবির অঙ্ক বেশি দেখালেও বছরপ্রতি গড়ে প্রায় সমান টাকাই (১৪-১৫ কোটি) পাচ্ছে বিসিবি। নিয়ম মেনে জাতীয় দলের স্পনসরশিপ পেতে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখায়নি।
 
বাংলাদেশ জাতীয় দল টানা তিনটি সিরিজ খেলেছে স্পন্সর ছাড়াই। এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দল এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলেছে স্পনসর ছাড়া। বিসিবির কর্মকর্তারা স্বীকার করে নিচ্ছেন, স্পন্সর পেতে যথেষ্ট কাঠখড় পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। এই ধারা থেকে বের হওয়া কবে সম্ভব হবে সেটাই দেখার বিষয়।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।