• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৩

চার দিনে ইংল্যান্ডকে রেকর্ড রানে উড়িয়ে দিল ভারত

পথরেখা অনলাইন : রাজকোটে ইংল্যান্ডকে রেকর্ড রানে হারাল ভারত। ব্যাট হাতে দ্বিশতরান করলেন যশস্বী জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ইনিংসে দাপট দেখালেন বোলারেরা। চার দিনেই শেষ হয়ে গেল রাজকোট টেস্ট। ব্যাটে, বলে দাপট দেখাল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিশতরান করলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৫৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড। মাত্র ১২২ রানে শেষ হয়ে গেল তাদের ইনিংস। ৪৩৪ রানে ম্যাচ জিতলেন রোহিত শর্মারা। টেস্টের ইতিহাসে এটিই ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। এর আগে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৭২ রানে জয় ছিল তাদের রেকর্ড রানে জয়। রাজকোটে জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ২-১ এগিয়ে গেল ভারত।
 
চতুর্থ দিন সকালে শুভমন গিলের সঙ্গে ব্যাটিং শুরু করেন কুলদীপ যাদব। রাতপ্রহরী হিসাবে নেমে ভাল খেলছিলেন কুলদীপ। শুভমনের সঙ্গে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে নিজের শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন শুভমন। আগের টেস্টেও দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছিলেন তিনি। কিন্তু ৯১ রানের মাথায় ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে গেলেন শুভমন। ২৭ রান করে আউট হন কুলদীপ।
 
পিঠের চোটে তৃতীয় দিন শেষ দিকে রিটায়ার্ট অবসর নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন যশস্বী। চতুর্থ দিন শুভমন আউট হওয়ার পরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। দেখে মনে হয়নি, পিঠে কোনও সমস্যা হচ্ছে। শুরু থেকে সেই একই মেজাজ। তাঁর সঙ্গে সাবলীল ব্যাটিং শুরু করেন সরফরাজ় খান। প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যাট করছিলেন তিনি। দুই ব্যাটার মিলে দলের রানকে ইংল্যান্ডের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
 
নিজের দ্বিশতরান পূর্ণ করেন যশস্বী। আগে টেস্টেও প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরান করেছিলেন তিনি। ১২ ছক্কার বিশ্বরেকর্ড করেছেন যশস্বী। টেস্টে এক ইনিংসে এত দিন এই রেকর্ড ছিল ওয়াসিম আক্রমের দখলে। ১৯৯৬ সালে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ১২টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। রাজকোটে ১২টি ছক্কা মেরেছেন যশস্বী। ডিক্লেয়ার না করে দিলে আক্রমকে টপকে একক ভাবে সব থেকে বেশি ছক্কা মারতে পারতেন তিনি।
 
শুরুতে গোল খাওয়ায় সুবিধা হয়েছিল, পিছিয়ে পড়ে কী ভাবে জয়? ব্যাখ্যা মোহনবাগান কোচের এক মাত্র ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে দু’টি দ্বিশতরান করেছেন যশস্বী। তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে পর পর দু’টি দ্বিশতরান করলেন যশস্বী। এই আগে এই রেকর্ড ছিল বিনোদ কাম্বলি ও বিরাট কোহলির দখলে। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে নিজের প্রথম তিনটি শতরানকেই ১৫০-র বেশি রানে নিয়ে গিয়েছেন যশস্বী।
 
যশস্বীর পাশাপাশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন সরফরাজ়ও। তিনিও শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু এই ইনিংসেও তাঁর শতরান হল না। কারণ, ৪ উইকেটে ৪৩০ রানের মাথায় ডিক্লেয়ার করে দেন রোহিত। ফলে যশস্বী ২১৪ ও সরফরাজ় ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
 
৫৫৭ রানের লক্ষ্যের সামনে ব্যাট করতে নেমে মুখ খুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসের শতরানকারী বেন ডাকেট রান আউট হন। রান পাননি জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো। বেন স্টোকস কিছুটা চেষ্টা করলেও পারেননি। ৫০ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। রবীন্দ্র জাডেজা ও কুলদীপের স্পিন জুটিকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ইংরেজ ব্যাটারেরা।
 
অষ্টম উইকেটে কিছুটা জুটি বাঁধেন বেন ফোকস ও টম হার্টলি। মার্ক উড শেষে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন। ফলে জিততে কিছুটা বেশি সময় লাগে ভারতের। তাতে অবশ্য জয় আটকায়নি। ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন রোহিতেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ৫ উইকেট নেন জাডেজা।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।