• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৬

ফাইনালের আগে ভুটানের বিপক্ষে বেঞ্চের পরীক্ষা

পথরেখা অনলাইন : নেপালের পর ভারতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ে এরই মধ্যে মেয়েদের সাফ অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে পৌছে গেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছুটির দিনের ম্যাচে বেঞ্চের পরীক্ষা করবেন কোচ সাইফুল বারী টিটু। আর এতেই যারা সর্বশেষ দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি তাদের জন্য সুযোগ আসবে। ফাইনালের আগে এরচেয়ে বড় সুযোগ আর হতে পারেনা। এর আগে দুই ম্যাচেই দারুণ ফুটবল খেলেছে লাল সবুজ মেয়েরা। প্রায় পুরো একটা নতুন দল নিয়ে সাফের এই আসরে খেলতে গিয়েছিল মেয়েরা। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে সেদিনের তুলকালাম কান্ডের কথা মাথায় রেখেই নামতে হয়েছে। আর এই ঘটনা তো সবারই জানা। অনেক নাটকীয়তার ম্যাচে শিরোপা ভাগাভাগি করা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। সেই ঘটনার এক মাস যেতে না যেতে আরেক বয়সভিত্তিক সাফে আবারও মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে এবার ভারত অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছে ২-০ গোলে।
 
অন্যদিকে ভুটানকে ৭-০ গোলে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।  সেখানে জিতলেই অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত— এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ-ভারত। ভারতকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে দ্রুতই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন আল্পি  আক্তার। ভারতীয় গোলরক্ষক সুরাজমুনি কুমারির ভুলের সুযোগটাই এখানে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। যেখানে ভারত সমতায় ফেরার অনেক সুযোগ পেয়েও তারা সফল হয়নি। ভারতীয়দের ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা তো ছিলই, একই সঙ্গে বাংলাদেশের রক্ষণভাগও ছিল দুর্দান্ত। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুতই ভারত সমতায় ফেরে। ৫৫ মিনিটে ভারতের সমতাসূচক গোল করেন আনুশকা কুমারি। টুর্নামেন্টে এটা তার চতুর্থ গোল। সমতায় ফেরার পর বাংলাদেশ-ভারত দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে।
 
ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ভারতের গোলরক্ষক সুরাজমুনি দুর্দান্ত এক সেইভে বাংলাদেশকে হতাশ করেন। এরপর ৭২ মিনিটে আনুশকা ভারতকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলায় গোলমুখ খোলে বাংলাদেশ। ৭৯ মিনিটে ভারতের রক্ষণদুর্গ ভেদ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। এরপর ৮৯ মিনিটে বাংলাদেশের তৃতীয় গোল করেন অর্পিতা বিশ্বাস। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এর আগে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখে বাংলাদেশের মেয়েরা। দলের অধিকাংশ ফুটবলার নতুন হওয়ায় ম্যাচের আগে একটু চিন্তাতেই ছিলেন বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু। প্রতিপক্ষ নেপাল টুর্নামেন্টের স্বাগতিক। তাই স্বাগতিক সমর্থকদের চাপ তো ছিলই, টিটু শিষ্যদের জন্য প্রতিপক্ষ ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত নেপালের আবহাওয়াও। সব বাধা জয় করে কোচের চিন্তা দূর করেছেন সুরভী আকন্দ প্রীতি-অর্পিতা বিশ্বাসরা। দারুণ এক জয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফে শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
 
স্বাগতিক নেপালকে ২-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়েও গেছে টিটুর দল। শেষ দুই ম্যাচে ভারত কিংবা ভুটানের বিপক্ষে যেকোনো একটি ম্যাচে জয় পেলেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে ২০১৭ সালে সবশেষ শিরোপা জেতা বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে কতটা দাপুটে ছিল অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ দল সেটি অবশ্য ম্যাচের ফলে প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রীতি-অর্পিতা ছাড়া এই দলে তেমন কেউ অভিজ্ঞ ফুটবলার ছিলেন না। দলের অধিকাংশ ফুটবলারেরই এটা প্রথম বিদেশ সফর। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফরোয়ার্ড প্রীতি। পেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। লাল-সবুজ দলের রক্ষণও ছিল ঠিকঠাক। পুরো ম্যাচে পরিষ্কার কোনো সুযোগই বের করতে পারেনি স্বাগতিক নেপাল। বাংলাদেশের দাপুটে ফুটবলের প্রশংসা করেছেন নেপালি ধারাভাষ্যকাররাই। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচে গোলের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত বাংলাদেশের। তাড়াহুড়ো না করলে ১৫ মিনিটের মধ্যে দুই গোল পেতে পারতেন ফরোয়ার্ড আলপি আক্তার। ম্যাচের ৫ মিনিটেই সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আলপি। সাথী মুন্ডার ক্রস থেকে পোস্টের সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পান আলপি, কিন্তু তাড়াহুড়োয় শট নিতে গিয়ে বল পাঠান ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে। আলপি আবারও সুযোগ নষ্ট করেছেন চার মিনিট বাদে। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল বুক দিয়ে দারুণভাবে রিসিভ করেছিলেন বক্সে দাঁড়ানো এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু চলতি বলে বেশ জোরে ভলি করতে গিয়ে প্রথমবারের মতোই বল পাঠান বাইরে। 
 
ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করে প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। ভারত নাকি নেপাল? কোন দলকে বাংলাদেশ পাবে শিরোপা লড়াইয়ে তা দেখার দেখতে চোখ ছিল এই দুই দলের ম্যাচে।
 
এদিকে বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভারত ১০-০ গোলে নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। ১০ মার্চ ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েররা লড়বে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই দেশ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে। শ্বাসরুদ্ধকর ও নাটকীয় ফাইনালে কোনো দল হারেনি। ৮ মার্চ বাংলাদেশ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে ভুটানের বিপক্ষে। ফাইনালের আগে নিয়ম রক্ষার এ ম্যাচটি প্রস্তুতির জন্য ভালো কাজ দেবে সুরভী আকন্দ প্রীতিদের।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।