• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৬

অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

পথরেখা অনলাইন : বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল মানেই বিশেষ কিছু। এবারও তার ব্যতয় ঘটেনি। তবে বাংলাদেশে সর্বশেষ সাফের মতো এবার আর ভারতের সাথে যৌথ চ্যাম্পিয়ন নয় একক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজাতেই ফিরে এল এক মাস আগে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের স্মৃতি। কমলাপুরে সেই ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত; দুই দলই ১১ শট জালে জড়ায়, লঙ্কান ম্যাচ কমিশনার নেন টসের মতো বিতর্কিত এক সিদ্ধান্ত। টসের কারণে আলোচিত ফাইনালে শেষ পর্যন্ত শিরোপা ভাগাভাগি করেছিল বাংলাদেশ-ভারত। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফে বাংলাদেশ-ভারত ফাইনালও গড়াল টাইব্রেকারে। অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের মতো এই ফাইনালেও পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশের মেয়েরা। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে এবার শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়নি। গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম একাই ঠেকিয়ে দিলেন ভারতকে। টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে  অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা অমীমাংসিত ছিল ১-১ গোলে।
 
ফলাফল নির্ধারণী টাইব্রেকারে বাংলাদেশ গোলরক্ষক ইয়ারজান একাই ঠেকিয়ে দেন ভারতের তিনটি শট। সুরভী আকন্দ প্রীতির প্রথম শট নষ্ট হলেও ইয়ারজান সেটা বুঝতেই দেননি। ফিরিয়ে দেন দিবায়ানি, আলিনা দেবী ও বোনিফিলিয়া শুল্লাইয়ের শট। বাংলাদেশ দুটি শট নষ্ট করলেও ইয়ারজানের বীরত্বে সেই আক্ষেপ আর থাকেনি বাংলাদেশের। টানা চতুর্থবারের মতো একই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে নামে বাংলাদেশ। একই একাদশ গ্রুপ পর্বে খেলেছে ভারতের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ চেনা হওয়ায় সুযোগটা প্রথমে কাজে লাগিয়েছে ভারতই। ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বে ১১ গোল করেছে বাংলাদেশ। গোল হজম করেছিল মাত্র একটি। সেই একটি গোল করেছিল ভারতই। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই আগে গোল করা বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো পিছিয়ে পড়ে ফাইনালে গিয়ে। ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ৪ মিনিট তখনই বাংলাদেশের রক্ষণ চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় ভার‍ত। নিজেদের অর্ধ থেকে বোনিফিলিয়া শুল্লাইয়ের লম্বা ক্রস ধরে অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়েন আনুশকা কুমারী। বাঁ পায়ের শটে দূর পোস্ট লক্ষ্য করে নেন শট।
 
তাতেই লক্ষ্যভেদ। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পায়নি বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার বারংবার চেষ্টা করে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের জমাটে রক্ষণকে কেউই তেমনভাবে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। টুর্নামেন্টে ৫ গোল করা সুরভী আকন্দ প্রীতিকে কড়া পাহারায় রেখেছিল ভারতের রক্ষণ। তাই বারবার বল পাওয়ার পরও ঠিকঠাক শট করতে পারেননি সুরভী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে টানা দুটি সেট পিস পায় বাংলাদেশ। ফাতেমা আক্তারের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল প্রথমবারের চেষ্টায় ফেরাতে পারেনি ভারতের গোলরক্ষক, কিন্তু জটলার মধ্যে থেকে পরে অবশ্য বিপদ মুক্ত করেন। প্রথমার্ধ শেষে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বলের বেশির ভাগ দখলটা থাকে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের পায়ে। সুযোগের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে ভারতের রক্ষণে হানা দিতে দিতেই পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। ৭০  মিনিটে আলপি আক্তারের ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ভারত গোলরক্ষক মুন্নি।
 
প্রীতি টুর্নামেন্ট সেরা, সেরা গোলরক্ষক ইয়ারজান
গোলরক্ষক ইয়ারজানের বীরত্বে ৩-২ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে শিরোপা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দলীয় সাফল্যের পাশাপাশি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত অর্জনও রয়েছে অনেক। চার দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সুরভী আকন্দ প্রীতি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাঁচ গোলের পাশাপাশি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটাও অল্পের জন্য মিস করেছেন প্রীতি। ভারতের আনুষ্কা শর্মা ছয় গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি পেয়েছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতা ভারত পেলেও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের গোলরক্ষক। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দু’টি গোল হজম করেছে। পাশাপাশি আজকের ফাইনালে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত সেভ করেছেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক ইয়ারজান। তাই সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারী টুর্নামেন্ট মানেই বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।