পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার স্বিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট। সেই আদেশকে অগ্রাহ্য করে সুপ্রিম কোর্ট স্কুল কলেজ রোজাতে খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। ৮ ফেব্রুয়ারি গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে স্কুল খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।
ছুটির তালিকাতে রমজানে ছুটিই ছিল তবে আংশিক সংশোধন করে ১৫ দিন স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই প্রজ্ঞাপন চালু থাকবে এখন।
এখন কড়া রৌদ্র। স্কুল বন্ধ হলে শিক্ষার্থিরা উপকৃত হত। এর বাইরে অভিভাবকদের শিক্ষার্থিদের সাথে স্কুলে যেতে হয়। এই খোলা রাখার ব্যবস্থাতে সারা বছরের পরিকল্পনা হোঁচট খাবেই। কলকাতাতেও স্কুল কলেজ এখন খোলা। ওখানেও একই রকম গরম। ওদের অনুকরণ বা অনুসরণ করে আমরা খোলা রেখেছি। তফাৎ এখানে ৯০% মুসলমান।
সুপ্রিম কোর্টে যে রায় দিল তা নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। তবে শিক্ষামন্ত্রী হয়তো মহাআনন্দিত। বর্তমানে শিক্ষা-ব্যবস্থা যে তলানিতে নেমেছে সেটা উনার মতন দুই একজন বাদে সবাই উপলব্ধি করছে। কেন জানি জন বিচ্ছিন্ন কাজ কারবার হচ্ছে। রোজাতে এক মন্ত্রী বরই খেতে বললেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গরু খাওয়া বন্ধের নির্দেশ দিল। এনারা এমন করে কেন? কি ছিনুরে আর কি হনুরে- এই ঠ্যালায় জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন উন্নয়ন কার্যাবলি আলোচনা থেকে দূরে চলে যাচ্ছ। পাবলিক চটুল কাজ কারবারে আগ্রহী হয়, আর এসব কাণ্ড কারখানা রসালো আলোচনারই জন্ম দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের বক্তৃতাতে কেসকোর্সে উপস্থিত ছিলাম। তাকে মারার পরিকল্পনা পাকিস্তান করেছিল । তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মুসলমান, আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।’রোযার এই পবিত্র সময়ে স্কুলে কতটুকু পাঠ দান হবে; তা নিয়ে গবেষণা করাই যায়। তবে শিশু আর অভিভাবকরা যে অসন্তুষ্ট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরো একটু ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন সময়ের দাবী।
পথরেখা/আসো