• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪০

সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটের বড় জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ছুটির দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দু’দল। প্রথম ম্যাচে পাওয়া সাফল্য দ্বিতীয় ম্যাচেও কাজে লাগাতে চায়। নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তানজিম সাকিব-শরিফুল ইসলাম-তাসকিন আহমেদের সমন্নয়ে প্রভাব বিস্তার করে যে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা সেটাই আত্ববিশ্বাসের জ্বালানী হিসেবে কাজ করবে। তিন পেসার আর ব্যাটারে উজ্জল এখন লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর বোর্ডে ৭১ রান। তাও মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের রান পিচে এমন শুরুর পর স্কোর বোর্ডে ৩শ’ যেকোনো দল চিন্তা করতেই পারে। কিন্তু টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা খেলতে পারলো ৪৮.৫ ওভার। আর সবক’টি উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ ২৫৫ রান। মূলত টাইগার বোলাররা শুরুতে খেই হারালেও নিজেদের ফিরে  পেয়েছে দ্রুতই। অধিনায়ক শান্তর ১২২ ও মুশফিকুর রহিমের ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
 
বিশেষ করে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব লঙ্কান ব্যাটিংয়ের লাগামটা টেনে ধরেন দারুণ ভাবে। বল হাতে নিয়েই ভেঙেছে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা উদ্বোধনী জুটি। থিতু হয়ে যাওয়া দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে থামেননি সাকিব, টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে বড় আঘাত হানেন এই পেসার। শেষ পর্যন্ত ৮.৪ ওভার বল করে ৪৪ রান খরচ করে তার শিকার ৩ উইকেট। তার আগুনটা যেন ছড়িয়ে পড়ে বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের মাঝেও। তারাও নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। অন্যদিকে ১০ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে এক উইকেট তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বরাবরের মতো লঙ্কান হয়ে টাইগারদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন উইকেট কিপার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ৭৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। বিপর্যয়ে তাকে দেখা গেছে একবারেই ঠান্ডা মাথায় ব্যাট চালাতে।
 
সেই সময় তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন জেনিথ লিয়ানগে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ রানের ইনিংস। অন্যদিকে ৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি তৃতীয়বারের মতো ৩ উইকেট শিকার। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এটি টাইগারদের এই বছরের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান অধিনায়ক। শুরুটা বেশ দারুণ ছিল তাদের। আভিস্কা ফার্নান্দে আর পাথুম নিশানকা ভয়ের কারণ হয়ে ওঠেন টাইগার বোলারদের। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে থাকেন রান। প্রথম ৯ ওভারে আসে ৬৮ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। ৯.৫ ওভারে ৩৩ বলে ৩৩ রান করে মুশফিককে ক্যাচ দেন আভিস্কা। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টেকেননি নিশানকাও। পরের ওভারে এসে সাকিব ফেরান তাকেও, আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৩৬ রান করেন নিশানকা।
 
এরপর তিনে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে থিতু হতে দেননি সাকিব। ১৪তম ওভারে এসে তাকেও তুলে নেন এই পেসার। ৫ বলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার  স্কোর বোর্ডে তখন ৩ উইকেটে হারিয়ে ৮৮ রান। তখন দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কা। শুরুটা ধীরে ধীরে হলেও পরে কুশলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে শুরু করেন জেনিথ। দু’জনের জুটিতে আসে ৭১ বলে ৬৯ রান। দলকে যখন চাপ থেকে বের করে আনছিলেন ঠিক সেই সময় ৭৫ বলে ৫৯ করা মেন্ডিসকে ফেরান তাসকিন। পরের দুই ওভারে এসে হাসারাঙ্গা ১৩ আর থিকসানাকেও ১ রানে ফেরান তাসকিন। ৪২.৪ ওভারে ২২৫ রানে ৭ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সাকিব-তাসকিনের পর এবার দৃশ্যপটে আসেন শরিফুল। লেজ ছাঁটাইয়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিনি। যেখানে ছিল ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করা লিয়ানগের উইকেটও। শেষ ৫৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মূলত প্রথম স্পেলে সাকিব ৩ উইকেট তুলে না নিলে লঙ্কান স্কোর বোর্ড হয়তো ছুঁয়ে ফেলতো তিন অঙ্ক। তরুণ এই পেসার ২০২৩ সালে  নিজের অভিষেক ম্যাচ ভারতের  বিপক্ষে খেলেছেন।
 
জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলেছেন ৬ ম্যাচ। এখন পর্যন্ত তিনি তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। তার সেরা শিকার এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ারে ১৪ রানে তিনি তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৮০ রান খরচ করে তিনি ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এদিকে কুশল পেরেরাকে থামানোর কৌশল কী সেটা নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। বাংলাদেশকে পেলে কী হয় কুশল মেন্ডিসের! প্রশ্নটা সাধারণ ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোদ্ধাদেরও। টাইগারদের বিপক্ষে চলতি সিরিজে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুটি আর প্রথম ওয়ানডেতে একটি ফিফটি হাঁকালেন কুশল মেন্ডিস। টাইগার বোলারদের পেলেই নিজের সব স্কিল যেন ঢেলে দেন এই লঙ্কান উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান। শুধু চলতি সিরিজেই নয়, সব মিলিয়ে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ৩৪ ইনিংস খেলে ১২ ফিফটির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৩ সেঞ্চুরি। ৪৮.৭৫ গড়ে করেছেন ১৬০৯ রান। এই পরিসংখ্যানটাই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে পেলে তিনি হয়ে ওঠেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ম্যাচে কুশলকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেবার লক্ষ্য থাকবে বোলারদের, পাশাপাশি জয় পাওয়ার লক্ষ্য থাকবে দলের।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।