• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৩৮
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন শ্রীনগর কেন্দ্রের

ব্যতিক্রমী আয়োজনে প্রাণোচ্ছ্বল সভা অনুষ্ঠিত

আরিফ সোহেল : অনুষ্ঠানের বাকি তখনও আধা প্রায় ঘণ্টা। নৈসর্গ ছুঁয়ে যাওয়া সজিব প্রকৃতি তখন দিনের শেষ আলোয় উচ্ছ্বলিত। সভা পান্থশাখার অডিটোরিয়ামে। ভিতরে-বাইরে করে প্রায় সবাই চেয়ার নিয়ে সবুজ ঘাসের আঙিনায় আড্ডায় জমে উঠলেন। সেখানে সূর্যের স্নিগ্ধরশ্মির আভায় অনেকের মুখই ছিল স্বপ্রতিভ। সেই আড্ডা প্রাণবন্ত কথায় জমে উঠল। তাতে অনুষ্ঠানের ধরনটাই একটু ব্যতিক্রমী হয়ে গেল। 
 
ছিল কেন্দ্রের কমিটি সভা ইফতার সমেত। আয়োজনের সভাপ্রধান যখন অগ্রসর ক্রিমপুর ফাউন্ডেশনের স্বপ্নদ্রষ্টা নূহ-উল-আলম লেলিন; সেখানে ব্যতিক্রমটাই স্বাভাবিক। আলোচনায় সূত্রপাত- বিষয় বিক্রমপুরে কীতিসন্তান। প্রসঙ্গটা টেনে এনেছিলেন বিক্রমপুরের বিস্ময় ব্যক্তিত্ব; যিনি মাটি খুঁড়ে তুলে এনেছেন প্রায় ২ হাজার বছরের পুরানো সভ্যতা- সেই গবেষক দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব নূহ-উল-আলম লেনিন। কথার যোগসূত্রের কেন্দ্রমূলে ছিল মুজিব রহমানের একটি বই। যেখানে বিক্রমপুরের সেরা সন্তানদের নিয়ে খেলা। তার লেখা ওই বই নিয়েই শেষতক কতো আলাপন। কত তর্ক-যুক্তি; পাল্টা যুক্তিখনন। তাতে চেয়ারে আসীন ১৫/১৬ জনের একটুও মনোযোগের ব্যত্যয় ঘটেনি। সবাই শুনেছেন মুগ্ধ হয়ে। কেউ কেউ যুক্তও হয়েছেন এই দুইয়ের আলোচনায়। কিন্তু ঋদ্ধ নূহ-উল-আলম লেনিন আবারো প্রমাণ করেছেন অনেকের চাইতে কেনো তিনি ব্যতিক্রম। কথামালা ছুটে যাচ্ছিল ভিন্নমুখে। এসে পড়েছিল রাজনৈতিক চর্চা, গণতন্ত্র, উন্নয়নও। কিন্তু তাতে পানি ঢেলে দিয়ে সামগ্রিক আলোচনাকে একসূতোয় বেধেছেন। তাতে সবাই তৃপ্ত হয়েছেন প্রথমপর্বের অনানুষ্ঠানিক গল্প-ইতিহাস স্মৃতিকথার মেলবন্ধনে।
 
১৫ মার্চ ছিল অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন শ্রীনগর কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির পরিকল্পনা; বছরব্যাপী করণীয় এই নিয়ে সভা। সঙ্গে সৌজন্যের ইফতার। এই আয়োজনে ঢাকা থেকে আমরা অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতির সঙ্গী হিসেবে ছিলাম আমরা পাঁচ। 
সভার প্রধান অতিথি নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, সংগঠনকে কার্যকর রাখতে হলে নিয়মিত বৈঠক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য দুই মাসে একবার করে সভা করতে। এ ক্ষেত্রে আপনারাই বেছে নেবেন শনিবার নাকি শুক্রবার মিটিং করবেন। আর আগামীতে সভা করে আপনারা এই শাখার ক্যালেন্ডার তৈরি করবেন। যেখানে প্রয়োজন হলে আমাদের কেন্দ্র থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। ওই থেকেই আপনার আইডিয়া পাবেন কি কি করতে হবে।
 
শ্রীনগর কেন্দ্রের সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিকিৎসক ডা. আব্দুল মালেক ভূঁইয়ার সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত এই সভায় অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হাসান গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি কিভাবে পালন করতে হবে তা সবিস্তারে বলেন। বৈঠকী ঢংয়ের এই আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্ষদের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন জুয়েল ও মো. আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আরিফ সোহেল, লৌহজং কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ কন্যা লেখক মৌলি আজাদ এবং  শ্রীনগর শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ বেপারী প্রমুখ। আলোচনা সভায় শাখার ৮ সদস্য নানা করণীয় সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভা সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন এই শাখার সাধারণ সম্পাদক লেখক মুজিব রহমান।
পথরেখা/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।