পথরেখা অনলাইন : অফফর্মের কারণে লিটন দাস বাদ। তার বদলে নতুন কোনো ওপেনার নয়, তৃতীয় ওয়ানডের দলে ডাকা হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে চমক দেখানো জাকের আলী অনিককে। কেন জাকেরের ওপর ভরসা করা? কী ভেবে তাকে ওয়ানডেতে ডেকেছেন নির্বাচকরা?
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করেন, জাকের আলী অনিকের অন্তর্ভূক্তিতে দলের ভারসাম্য বাড়বে। মিডল অর্ডারে আরও স্থিতি আসবে। তিনি যোগ করেন, ‘কোনো ক্রিকেটার বিশেষ করে উইকেটকিপার মাথায় আঘাত পেলে কনকাশনে একজন বিকল্প দরকার হয়। দলে জাকের আলী অনিককে সেই কথা চিন্তা করেও নেওয়া হয়েছে।’
শনিবার দুপুরে বিসিবি থেকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর এক ভিডিওবার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে জাকের আলী নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচকের মূল বক্তব্যটা এমন, ‘যেহেতু সিরিজ চলছে , তাই খুব পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না। সে কারণেই আমরা একটি মাত্র পরিবর্তন করলাম। নতুন বলে খুব অধারাবাহিক হওয়ার কারণে শেষ ম্যাচে লিটন দাসকে বাইরে রাখা হয়েছে। আমরা যখন লিটনকে শেষ ম্যাচে অন্তর্ভুক্ত করলাম না, তখন তার জায়গায় খালি হলেও বাইরে থেকে আর কোনো ওপেনারকে নেইনি, কারণ দলে আরও ওপেনিং অপশন আছে।’
লিটনের বদলে জাকেরকে বিবেচনায় আনা এবং দলভুক্ত করাটা শুধুই নির্বাচকদের একক সিদ্ধান্ত নয়। সিলেকশন প্রক্রিয়ায় কোচ ও অধিনায়কের মতামত নেওয়া হয়েছে, দাবি লিপুর। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যেহেতু লিটন ছাড়াও আমাদের অধিনায়ক ও কোচের হাতে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে এনামুল হক বিজয় আর তানজিদ হাসান তামিমও আছেন, তাই আমরা দেখেছি লিটনের বদলে মিডল অর্ডারে কাউকে নেওয়া যায় কিনা। আমাদের মনে হয়েছে জাকের আলী অনিক বেস্ট পসিবল অপশন।’
লিপু যোগ করেন, ‘জাকের আলী সিলেটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দারুণ ব্যাট করেছে। তারপর প্রিমিয়ার লিগেও রান করেছেন। মাল্টিপল দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আমরা মনে করেছি জাকেরের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে ব্যালেন্স থাকবে। শেষ ম্যাচটি হচ্ছে দিনের ম্যাচ। আমরা মনে করছি অনিক দলে ঢোকার অন্যতম দাবিদার। তাই তাকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।’
পথরেখা/আসো