• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৭

তরুণদের নিজেদের প্রমাণের টেস্ট

পথরেখা অনলাইন : টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার শুরু হতে যাচ্ছে টেস্টের লড়াই। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল নয়টায়। এই ম্যাচে তারুন্যের বাংলাদেশের দেখা পাওয়া যাবে। পঞ্চপান্ডবের কেউ নেই এই ম্যাচে। মুশফিকুর রহিম শেষ ভরসা হয়ে থাকলেও ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। সে হিসেবে টেস্টে তারুণ্যেই ভরসা রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বোলিং আক্রমণে কিছুটা চিন্তা আগে থেকেই ছিল। শক্তির জায়গা ছিল ব্যাটিং। ওয়ানডে সিরিজের শেষ মুহূর্তে আঙুলের চোটে মুশফিক ছিটকে যাওয়ায় ব্যাটিং বিভাগেও বেড়েছে চিন্তা। তাঁর জায়গায় টেস্ট দলে এসেছেন তাওহীদ হৃদয়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বেশ পরিচিত মুখ হলেও তাঁর টেস্ট খেলা হয়নি কখনো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪ ম্যাচে হৃদয়ের রান ৯১৩, গড় ৪৮.০৫। ৩ সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ৪ ফিফটি। মুশফিক ছিটকে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের লড়াই রূপ নিয়েছে অভিজ্ঞ বনাম তারুণ্যের। এখানেই বড় দুশ্চিন্তা।
 
লঙ্কান দলের অভিজ্ঞতা যেখানে মোট ৪৯১ টেস্ট খেলার, সেখানে পুরো বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সম্মিলিত টেস্ট অভিজ্ঞতা প্রায় অর্ধেক, ২৭০টি। শ্রীলঙ্কা দলের খেলোয়াড়দের যেখানে গড়ে ৩০.৬৯ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা, সেখানে বাংলাদেশের গড় অভিজ্ঞতা ১৯.২৯ টি টেস্ট। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুমিনুল হক, যাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে ৫৯ টেস্ট খেলার। তিনি অপেক্ষায় আছেন টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরই ২৫টির বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসই খেলেছেন ১০৭ টেস্ট। লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে ৮৯, দিনেশ চান্দিমাল ৭৭, কুশল মেন্ডিস ৬১ ও অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা খেলেছেন ৫২ টেস্ট। ব্যাটিং, বোলিং টেস্টে দুই বিভাগেই অভিজ্ঞতায় স্পষ্টই লঙ্কানদের চেয়ে পিছিয়ে থাকছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে দারুণ কিছু করতে তারুণ্যের আলোয় জ্বলতে হবে বাংলাদেশকে।
 
সিলেটে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করেছে দুদলই। লঙ্কানরা টি-টোয়েন্টি আর স্বাগতিকেরা জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ, ফলে টেস্ট সিরিজ হয়ে উঠেছে দুই দলের এগিয়ে থাকার লড়াই। বাংলাদেশ দলে অভিষেকের অপেক্ষা থাকা নাহিদ রানা ও মুশফিক হাসান নেটে আগুন ঝরিয়েছেন বোলিংয়ে। ছন্দ ফিরে পেতে লিটন দাস ব্যাটিং করেছেন আড়াই ঘণ্টার মতো। দুই তরুনের মধ্যে কার অভিষেক হবে সেটা ম্যাচের আগেরদিন খোলাসা করেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। লম্বা সময় নেটে বোলিং করেছেন মুশফিক হাসান ও নাহিদ রানা। মুশফিক কয়েক সিরিজ ধরেই টেস্ট দলের সঙ্গে আছেন, তবে নাহিদকে আরও ভালো করে দেখলেন। এ দুই পেসারের বলের নিয়ন্ত্রিত লেংথ এবং গতি দেখে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের কোচ হাথুরু। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু জানিয়েছেন, মুশফিক ও নাহিদের মধ্যে কোনো একজন পেসারকে প্রথম টেস্টে অভিষেক করাতে চান। একাদশে ২-৩ জন পেসার রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে।
 
এ বিষয়ে হাথুরু বলেছেন, ‘আমরা ১১ জন খেলোয়াড় খেলাতে পারব এবং সেখানে হয়ত ২ বা ৩ জন পেসার থাকবে। (নাহিদ-মুশফিক) দুজনই বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বল করতে পারে। খুবই তরুণ এবং শক্তিশালী। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দুজনের শুরুটাই দারুণ। অনেক ওভার বল করেছে। তাদের নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত, তাদের যেকোনো একজনকে অন্তত এই ম্যাচে দেখতে চাই।’ সর্বশেষ বিপিএলে গতির ঝড় তোলেন নাহিদ। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুই ম্যাচ সুযোগ পেয়ে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বোলিং করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইতিমধ্যে ১৫ ম্যাচে ৬৩ উইকেট তাঁর। ১৫ ম্যাচে মুশফিকের ৫৫ উইকেট। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজের চেয়েও সিলেটের উইকেট এবার ঘাস একটু বেশি। তোপ দাগতে পারেন পোসাররা। হাথুরু অবশ্য জানিয়েছেন, উইকেট-আবহাওয়া যেমনই হোক হারাতে চান লঙ্কানদের। বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘আমাদের শক্তি ও প্রতিপক্ষের ওপর কম্বিনেশন নির্ভর করে, আবহাওয়ার ওপর নয়। আবহাওয়া আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। হ্যাঁ, উইকেট একটু ভিন্নরকম লাগছে। আগেরবার এত ঘাস ছিল না, এবার ঘাস একটু বেশি’।
 
এদিকে অনেক আশা থাকলেও লংকানরা পাচ্ছেনা অবসর ভেঙ্গে ফেরা হাসারাঙ্গাকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে এই লঙ্কান তারকাকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এর আগে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথেই শ্রীলঙ্কা হারায় বাহাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কাকে। এরপর লঙ্কানরা হেরে বসে ওয়ানডে সিরিজও। সিরিজ হারের পর লঙ্কানদের দুঃসংবাদের পাল্লা আরও ভারী হয়েছে। সিরিজকে সামনে রেখে টেস্ট থেকে অবসর ভেঙে ফেরেন হাসারাঙ্গা। তবে সাদা পোশাকে ফেরার অপেক্ষাটা বেড়েই চলল। আইসিসির থেকে দুই টেস্টের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন হাসারাঙ্গা। আইসিসির খেলোয়াড়দের আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করার কারণে এমন শাস্তি পেয়েছেন লঙ্কান লেগস্পিনার। হাসারাঙ্গা শাস্তি পেয়েছেন সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের এক ঘটনায়। এবার তারুণ্যের পরীক্ষায় পাশ করার পালা।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।