পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাঁচদিনের মাথায় আবারও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠ বসুন্ধরনা কিংস অ্যারেনায় মুখোমুখি হবে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বেড়ে ওঠার দেশটির বিপক্ষে। পাচঁ দিন আগে কুয়েতের মাঠে ফিলিস্তিনের কাছে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ নিয়ে একেবারেই মুখ খুলছেন না বাংলাদেশের ফুটবলাররা। যতটুকু জানা গেছে, ভুলে ভরা সেই ম্যাচটার ভুলত্রুটি শোধরানোর প্রতিই বেশি মনোযোগী ছিলেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সবাইকে বলেছেন বাড়তি দায়িত্ব নিতে। কিংস অ্যারেনায় মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন। স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্য এই মাঠ বেশ পয়মন্ত, যেখানে এখনো পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারেনি লাল-সবুজের দল। সেটাই বড়সড় একটা আশার বানী হয়ে এসেছে।
কিন্তু কুয়েতে ফিলিস্তিনের কাছে যেভাবে উড়ে গেছে কাবরেরার দল, নিজেদের পছন্দের মাঠে অপরাজিত থাকা কতটা সহজ হবে? বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বলছেন, খুবই সম্ভব। শুধু অপরাজিত থাকাই নয়, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে জেতাও সম্ভব বলে মনে করেন ফাহিম। বললেন, আক্রমণেও উঠতে হবে সবাইকে। এই ফরোয়ার্ড আরও বলেন, ‘কুয়েতে কী হয়েছে, আমরা সেটা ভুলে গেছি। আগের ম্যাচে যেসব ভুল হয়েছিল সেগুলো যদি না করি তাহলে আমাদের পক্ষে জেতা খুব সম্ভব। তবে আক্রমণে সবাইকে একসঙ্গে উঠতে হবে, রক্ষণটাও আমাদের সবাইকে একসঙ্গে করতে হবে। সব ঠিক থাকলে আমাদের পক্ষে জেতা খুবই সম্ভব।’ কিংস অ্যারেনায় র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা চার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিতেছে একটি এবং ড্র করেছে বাকি তিনটিতে। সেই সঙ্গে স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন বাড়তি সুবিধা দেবে জামাল-তপুদের।
এ কারণে অ্যাওয়ে ম্যাচে পাঁচ গোলে হারার পরও ঘরের মাঠে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। এই কিংস অ্যারেনায় গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গ্রুপের আরেক শক্তিশালী দল লেবাননকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের বিপক্ষেও এমন কিছুরই আশা জামাল তপুদের। কুয়েথ থেকে ফিরে ম্যাচের আগেরদিন পর্যন্ত অ্যারেনার প্র্যাকটিস মাঠে অনুশীলন করেছে দুই দল। তবে দুই দলই অনুশীলন করেছে ক্লোজডোর। ক্লোজডোর প্যাকটিস হলেও বাংলাদেশের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা মুল কাজ করেছেন ডিফেন্স নিয়ে। আগের ম্যাচে ডিফেন্ডারদের ভুলেই পাঁচ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে তেমনটা হতে দিতে চান জানিয়ে এই স্প্যানিশ কোচ বলেন ‘আবারও বলছি, পাঁচ গোলে আমি ডিফেন্ডারদের খুব একটা দোষ দেখিনা। হয়তো ওই ম্যাচে আমরা কিছু ভুল করেছি। এখন সময় পর্যালোচনার, বিশ্লেষণের এবং শেখার। ইতিবাচক দিকগুলো নিতে হবে, নিশ্চিতভাবে কিছু বিষয় মানিয়ে নিতে হবে’।
ফিরতি লেগে নিজেদের কাছে বড় প্রত্যাশা তার, চাহিদা আরো বেশি হতে হবে। আমরা জানি, নিজেদের মাঠে আমরা আরো বেশি শক্তিশালী।’ সেটা মানছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মনও। তিনি কুয়েতের ম্যাচটি ভুলে যেতে চান জানিয়ে বলেন, এবার আমাদের ঘরের মাঠে খেলাা। নিজেদের মাঠ নিজেদের দর্শকদের সামনে ম্যাচটির ফলাফল ইতিবাচক হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ এখানে লেবাননের সঙ্গে ১ গোলে পিছিয়ে পরেও ড্র করা ম্যাচটির উদাহরন টেনে তপু বলেন, এই মাঠে দীর্ঘদিন ধরে খেলে আসছি। এই মাঠে নামলে আমাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার শক্তি পাই। এসবই ফিলিস্তিন ম্যাচে আমাদের আশা দেখাচ্ছে।’ তপুরা যতোই আত্মবিশ্বাসের কথা বলুকনা কেন বাংলাদেশের মুল সমস্যা রক্ষণে। আগের ম্যাচে সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েদিয়েছে ফিলিস্তিন। রক্ষণে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এ কথা কোচ-খেলোয়াড়রা ম্যাচের আগে থেকেই বলে আসছিলেন। সৌদির ক্যাম্পেও সে অনুশীলনে জোর দেওয়া হয় বেশি।
পথরেখা/আসো