• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫১

সাকিবকে নিয়ে টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ জিতে কিছুটা হলেও প্রতিশোধ নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্ট সিরিজে যেন দেখা পাওয়া গেল পুরনো দলের। ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয়ের শনিবার দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। ইনজুরি কাটিয়ে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখেই মাঠে নামতে যাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এছাড়া পারবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সবমিলিয়ে জয়ই প্রধান লক্ষ্য ধরে চট্টগ্রামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। এর আগে আশা জাগিয়েও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হার। পরে ওয়ানডেতে দাপুটে জয়। টেস্টে আবার প্রথম ম্যাচে বিব্রতকর পরাজয়। তিন সংস্করণের অধিনায়ক হিসেবে শান্তর শুরুটা বলা যায় অম্ল-মধুর। তার অধিনায়কত্বের নানা দিক নিয়ে বিশ্লেষণও শুরু হয়ে গেছে। তবে তার নেতৃত্ব নিয়ে মূল্যায়নের সময় এখনো আসেনি বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। শান্ত নেতৃত্ব পেয়েছেন চলতি বছরের জন্য। শুরুটা হয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে। এর আগে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে।
 
বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ ও নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে একটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জয়ে দারুণ অধিনায়কত্ব করেন শান্ত। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়েও মাঠ পরিচালনায় তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ফিল্ডিং সাজানো, বোলিং পরিবর্তন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলারদের সঙ্গে আলোচনায়ও বেশ সক্রিয় দেখা যায় তাকে। টেস্টের কঠিন পরীক্ষায় অবশ্য শুরুতে হোঁচট খেয়েছেন শান্ত। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হারের ম্যাচে বোলিং ইনিংসের সময়ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের পাল্টা আক্রমণের কোনো জবাব যেন দিতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ভালো করার বাড়তি রসদ পাচ্ছেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ফিরেছেন সাকিব। দলে যোগ দেওয়ার আগে একটি অনুষ্ঠানে সাকিব বললেন, শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যেতে চান না তিনি। ‘শান্তর অধিনায়কত্বের খুবই প্রাথমিক পর্যায় এখন। আমি নিশ্চিত, বিসিবি ওকে লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করেই দায়িত্ব দিয়েছে। ওর শুরুটা খুবই ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে, যেটা ওকে সাহায্য করবে আরও বেড়ে উঠতে। আমার ধারণা, সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন নেতা হবে।’
 
চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে প্রায় ৫ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব, আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় একবছর। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি সবশেষ খেলেছেন গত বছরের এপ্রিলে। এই সিরিজের কোনো ম্যাচই অবশ্য খেলার কথা ছিল না তার। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, পুরো সিরিজেই তাকে পাবে না বাংলাদেশ। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুই ম্যাচ খেলার পর দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ঘোষিত দলে রাখা হয় সাকিবকে। শেখ জামালের হয়ে খেলা তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫৩ রানের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ২ উইকেট নেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। টেস্টে ফেরার প্রস্তুতিটা মূলত প্রিমিয়ার লিগের এই তিন ম্যাচ দিয়েই নিতে হয়েছে তাকে। প্রায় এক বছর এবার টেস্ট ক্রিকেটে মাঠে নামার আগে সাকিব বললেন, দেশের হয়ে খেলার গর্ব নিয়েই তিনি ফিরছেন। সাকিব দলে থাকা মানে দলের শক্তি বহুগুন বৃদ্ধি পাওয়া।
 
সে কারণেই নিজের লক্ষ্যে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই। আমার মনে হয় না, ক্রিকেট যতদিন খেলেছি, কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে আমার কোনো চিন্তা ছিল। সবসময় চেষ্টা করেছি, দলের জন্য কীভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারা কিংবা প্রতিনিধিত্ব করতে পারা সবসময় গর্বের একটা বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট দলে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত, একই সঙ্গে গর্বিত।’ সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের নাজুক পারফরম্যান্সে তেমন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলাররা দুই ইনিংসেই দারুণ শুরুর পর হতোদ্যম হয়ে পড়েন ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুর সামনে। সব মিলিয়ে ৩২৮ রানের বড় পরাজয়ে শেষ হয় ম্যাচ। এই সংস্করণে বাংলাদেশের শক্তি-সামর্থ্যরে বাস্তবতা মাথায় রেখেই সাকিব বলেছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা উচিত তাদের, ‘আশা তো সবসময় করি যেন জিতব। তবে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবসময় ‘স্ট্রাগল’ করেছি। আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’ বাংলাদেশকে ধ্বসিয়ে দেওয়া কসুন রাজিতাকে এই ম্যাচে পাচ্ছেনা লংকানরা। অন্যদিকে কোচ হিসেবেও হাথুরুকে পাবেনা বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত কারণে দলের সঙ্গে চট্টগ্রাম না গিয়ে এই শ্রীলঙ্কান ধরছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ফ্লাইট। তাঁর পরিবার সেখানেই থাকে। এই টেস্টে তাঁর না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য ব্যক্তিগত কারণের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে যত দূর জানা গেছে, পরিবারের অসুস্থ একজনের পাশে থাকতেই সিডনি গিয়েছেন তিনি। হাতুরাসিংহের জায়গায় এই টেস্টে তাঁর সহকারী নিক পোথাস হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানানো হয়েছে বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে জয়ের কোন বিকল্প দেখছেন না বিশ্লেষকরা।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।