• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩০

টেস্টের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন

পথরেখা অনলাইন : ৩২৮ ও ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে দুটি টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে এমন পরাজয় ভবিষ্যতের জন্য ভাবনায় ফেলে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমিদের। তাছাড়া এই পরাজয়ের ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে বড় ধরনের ধ্বস নেমেছে। বাংলাদেশকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে লংকানরা। অথচ এই দলটিই সর্বশেষ বিশ্বকাপে খেলেছে বাছাইপর্বের গন্ডি পার হয়ে। যেভাবে ঘরের মাঠে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যাটাররা তাতে করে বড় দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে বোর্ড কর্তাদের। তারা বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে চান। আর তরুন দলটির উপর ভরসা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চান। দুবছর পর ভাল ফলাফল করতে পারবে এই আশায় রয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে এখন ব্যাটারদের ব্যর্থতা। শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসের আগে টানা ৫ ইনিংসে দুইশর আগে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮০, ১৩৯, ১৮৮, ১৮২, ১৭৮ টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র। সবগুলোই ঘরের মাটিতে। শেষের তিনটি স্কোর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের ৫৩১ রানের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টে স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৭৮ রানে। জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।
 
৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে বিরতির দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করেছে সফরকারীরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ১৮৮ ও ১৮২ তে অলআউট হয়ে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটেও ভাগ্য ফেরেনি বাংলাদেশের। থামতে হয় দুইশর আগে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ১৮০ ও ১৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ ভাঙার পর দ্রুত আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, শাহাদাত হোসেন দীপু দ্রুত ফিরলে অল্পতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আর কতদিন এই ব্যাটিং ব্যর্থতা! টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে এখনো ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে আর কতদিন এই ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখাবে বাংলাদেশ!
 
কত সময় পাড় হলে টেস্ট ক্রিকেটে আলোর মুখ দেখবে টাইগাররা? আলো তো দূরে থাক, বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে যেন ঘনিয়ে আসছে ঘোর অন্ধকার। যার জন্য দায়ী টাইগার ব্যাটাররাই। তারা এক সিরিজে ভালো খেলেন তো পরের সিরিজে হন চরম ব্যর্থ। যার প্রমাণ টেস্টে গত ৫ ইনিংসে ২০০ রানের আগেই অলআউট হওয়া। গত বছরের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে দুই ইনিংস বাংলাদেশ করেছিল যথাক্রমে ১৭২ ও ১৪৪ রান। অর্থাৎ ২০০ রানের ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ওই ম্যাচ নিউজিল্যান্ড জিতে নিয়েছিল ৪ উইকেটে। এরপর চলতি বছরের প্রথম টেস্ট সিরিজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ মার্চ খেলতে নামে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। নৈপথ্যে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা। এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের দুই ইনিংস ছিল ১৮৮ ও ১৮২ রানের।
 
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও একই দৃশ্য দেখলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে যে পিচ সফরকারী ব্যাটারদের জন্য ছিল ব্যাটিংস্বর্গ, সেই পিচ পরক্ষণেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য হয়ে গেলো যেন কসাইখানা। একে একে লঙ্কান বোলারদের সাধারণ বোলিংয়ে কাটা পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে করা ৫৩১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে গতকাল বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৭৮ রানে। অর্থাৎ ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে না পারা আরও একটি ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প লিখলেন শান্তরা। ফলে এটা নিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে ২০০ রান পার করতে পারেনি বাংলাদেশ। যা সত্যিই হতাশার। কাল ম্যাচের তৃতীয় দিন শ্রীলঙ্কা চাইলে ফলো-অন করাতে পারতো বাংলাদেশকে। তবে তা না করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে তারা। এদিন চা বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে একশর আগেই ৬ ব্যাটারকে হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে ইতোমধ্যেই তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ রানের। লঙ্কানদের হাতে আছে আরও ৪ উইকেট।
 
প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড পেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। হাতে বড় লিড থাকায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে তারা। এ সুযোগটাই লুফে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে হাসান মাহমুদ। এই পেসার ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষ বিকালে একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। টানা দুই পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের খুব খারাপ অবস্থানে চলে গেছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আর সবাইকে প্রথম শ্রেনির লিগ খেলতে বাধ্য করাই হবে প্রথম কাজ।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।