• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৩৪

কক্সবাজার উৎসবমুখর ঈদের আমেজ

বাঙালিদের কাছে পাহাড় আর সমূদ্র দূর আত্মীয়ের মতন। সব সময় কাছে পাওয়া যায় না। আর পাওয়া যাওয়ার সময়টুকু আজীবন মনের গভীরে জ্বলজ্বল করে রাঙিয়ে থাকে। আর েএীদের ছুটি মানেই কক্সবাজার উৎসবমুখর পরিবেশ।
 
কক্সবাজার, পাহাড় আর সমূদ্র দুটোরই সান্নিধ্য পাওয়া যায় তাই পর্যটকদের আগ্রহ লেগেই থাকে। ১৯৪৭ সে ক্যাপ্টেন এডভোকেট ফজলুল করিম কক্সবাজারকে বোম্বে আর করাচির সি-বিচের আদলে আকর্ষণীয় করার প্রচেষ্টা নেন। আর এ জন্য ফোর্ড ফাউন্ডেশন আর রকফেলার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা পান। ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল টিএইচ ম্যাথিউস আর সরকারি ইঞ্জিনিয়ার চান্দি চরন দাস বিদেশি সাহায্য আদায়ে অক্লান্ত কাজ করেন।  বর্তমান জন সংখ্যা প্রায় দুই লাখ আর এরা পর্যটকদের আনাগোনায় অভ্যস্ত। প্রথম সারির হোটেল প্রচুর রয়েছে।
 
সেনাবাহিনীর নিজস্ব রিসোর্ট জলতরঙ্গ আছে। সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, আর সার্ভিস অতিথিদের আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। এই আর্মি রিসোর্ট অবস্থানকালীন সময়কে স্মৃতিতে গেথে রাখতে আর কি চাই। শুধু তাই নয় বিমানবন্দর থেকে জলতরঙ্গে নির্বিঘ্নে চলে আসতে গাড়ির ব্যবস্থা আছে। এই কক্সবাজারে এবার ঈদ-ছুটি কাটাতে বড় ছেলে মোবাশ্বের স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি বহুবার যেতে চেয়েছি। বড় নাতনি সুরায়না সমূদ্রে নেমেছে তবে ছোট সাররিনাহ নামেনি। এবার ইনশাল্লাহ। 
 
কোথায়ও যেতে হলে বাক্স পেটরা বাঁধা বাধি হল অপ্রয়োজনীয় হট্টগোল শুরুর পারিবারিক সিলেবাস। সমূদ্র অবগাহনে আমরা ইউরোপীয় দের মতন খুল্লাম খুল্লাম হতে পারিনা। তবে আধুনিক হবার চেষ্টা আর- কি ছিনুরে আর কি হনুরে; এই গুষ্টির সদস্যরা স্বল্প পোষাকে জল কেলির আনন্দ সব্বাইকে বিতরণ করে -আ হা!
 
স্বল্প বাক্স পেটরা নিতে হলেও দাদুমনি সুরায়না আর সাররিনাহর পোষাক আলাদা স্যুটকেস ভরে যায়। বুঝিয়ে বলতে গেলাম, কক্সবাজার থেকেই ওদের জন্য নতুন পোষাক কিনা হবে, এত পোষাক নেবার কি দরকার? ওরা তাইলে ন্যাংটাই যাক; এই উক্তি শুনে অল্প দুঃখে কাতর, অধিক শোকে পাথর হয়ে গেল। সমুদ্রে সব সময় শিশুদের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখলেই সমুদ্র-স্নানের মজা পুরপুরি উপভোগ করা যায়। ইউএস বাংলাতে যাওয়া আর আসা। ঢাকার বাইরে ঈদ, পথরেখার পাঠক; সতীর্থ বন্ধুদের জন্য আগাম ঈদ মোবারক।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় হকি দল ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।