• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৮

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে মানা

পথরেখা অনলাইন : সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কুড়ি ওভারের বিশ্বসেরা আসরে খেলবে বাংলাদেশও। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যে স্বপ্ন দেখতে মানাই করে দিলেন। সবার প্রতি একটা অনুরোধ রেখে টাইগার কাপ্তান বাস্তবতা মানতে বলেন। বিশ্বকাপ কাছে এলে বাংলাদেশ দলের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা। গত বছর সেমিফাইনালের আশা নিয়ে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল তাঁরা। দেড় মাস পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরবে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। প্রত্যাশার জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত অবশ্য জানিয়েছেন, এবার নিজেদের লক্ষ্যটা প্রকাশ করতে চান না। সবার কাছে তাঁর আবেদন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য নিয়ে যেন বেশি মাতামাতি না করা হয়। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞাপনী অনুষ্ঠান শেষে শান্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লক্ষ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘এবার আশা কতটা আর কোন পর্যন্ত সেটা এখনই বলতে চাচ্ছিনা। প্রতিবছরই আমি দেখি বিশ্বকাপের আগে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা, এটা করব, সেটা করব, অনেক কথাবার্তা হয়। আমার একটা রিকোয়েস্ট থাকবে আপনাদের কাছে, বেশি প্রত্যাশা করার দরকার নেই’।
 
শান্ত আরও বলেন, ’সবার মনের মধ্যেই থাক সেটি। আপনিও জানেন বাংলাদেশ দল কী চায়, আমরা খেলোয়াড়েরাও জানি দলটাকে আমরা কত দূর নিয়ে যেতে চাই। সবাই চাই আমরা অনেক বড় কিছু করি। কিন্তু এটা নিয়ে যখন বেশি মাতামাতি হয়, আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। কারণ ফল যখন হবে, তখন এমনিতেই দেখা যাবে।’ শান্তর মতে, খেলোয়াড়েরা প্রত্যেক ম্যাচেই জেতার জন্য খেলেন, জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলেন। জয়ের জন্য নিজেদের ১২০ ভাগ দিতে চান তাঁরা। এবারও লক্ষ্যটা বড়। তবে সেটি প্রকাশ করতে চান না এবং মাতামাতি করতে নারাজ তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, ‘আমি একটা সিরিজ বলতে পারি, যে দলটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দেবে প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতার জন্য। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি যে প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে। সুতরাং অনেক বেশি আশা নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিবছর, প্রত্যেকটা ম্যাচ যখন আমরা খেলি, অনেক আশা নিয়েই খেলি এবং আমরা যেটা পারি সেটা করারই চেষ্টা করি। প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব। কিন্তু আগে থেকেই অনেক আশা করছি, এবার একটু বেশি আশা করছি। একটা রিকোয়েস্ট থাকবে, আমরা যেন মাতামাতি না করি। বাস্তবতা যেন বুঝি।’
 
এদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ খেলা হচ্ছে না জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের! বিশ্বকাপ নিয়ে ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগে দেশের মাটিতে জাতীয় দলের শেষ প্রস্তুতি। দেখা মিলবে বিশ্বকাপের ছায়া স্কোয়াডের। তবে প্রশ্ন হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কি ক্যাম্পের শুরু থেকেই অংশ নিতে পারবে? কারণ ২২ বা ২৩শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ৬ দল নিয়ে সুপার লিগ। ঢাকা লিগের প্রথম রাউন্ড শেষ হতেই মূলত শিরোপার লড়াই শুরু হবে সুপার লিগ পর্বে। তাই ক্লাবগুলো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়বে কিনা তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন! তবে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন সুপার লিগ নিয়ে তাদের ভাবার সময় নেই। ক্যাম্প শুরু হলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সেখানে অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘২৬শে এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে ক্যাম্প। আমরা আসলে সুপার লিগ নিয়ে ভাবছি না। এ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। যেটা পরিষ্কার করে বলতে চাই ক্যাম্পে সব ক্রিকেটার অংশ নিবে’।
 
লিগে খেলবে কিনা সেটি ক্লাবগুলোর সঙ্গে তারা বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। অন্যদিকে জানা গেছে বড় ক্লাবগুলোর চাপে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের শেষ পর্যন্ত খেলতে হতে পারে সুপার লিগে। এই বিষয়ে অবশ্য জালাল ইউনুস সরাসরি কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘যদি ক্লাবগুলো প্রয়োজন মনে করে সেটি পরের বিষয়। আমরা এখনো এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। ক্রিকেটাররা ক্যাম্পে অংশ নিবে সেটি জানি।’ ঈদের ছুটি শেষে এরইমধ্যে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। আগামী মাসের শুরুতেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ছুটি কাটিয়ে মাঠে নেমেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল)। আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি হবে চট্টগ্রামে। ৩ মে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। নানা জল্পনা থাকলেও ২২ এপ্রিল দেশে ফিরছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।