বিএসপিএর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠাল ছিল সোনারগাঁও হোটেলে। বিকেল তিনটায় অতিথিরা আসলেন। প্রথম লাইনের সোফার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা নিমগ্ন হলেন আলাপ-চারিতায়। উনাদের প্রতি জনের সোফার সামনে বেশ জটলা। কেউ দাঁড়িয়ে আবার কেউ বসেই আগ্রহীদের সাথে বাতচিত চালাতে লাগলেন। সময় বহিয়া যায়, তিনটা কবেই পার।
ওয়াটার্লু যুদ্ধ। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট আর্টিলারি ম্যান ছিলেন। সকালে বৃষ্টি হওয়াতে মাঠ নরম থাকাতে তিনি কামান ব্যবহার করেন তিন ঘণ্টা পর। যুদ্ধ হয়েছিল ১৮ ই জুন। যুগ্ধ জিতে ছিলেনও কিন্তু শেষ বিকেলে রিইন্ফোর্সমেন্ট পেয়ে যায় ওয়েলিংটন, যদি কামান ব্যবহারে তিন ঘণ্টা সময় দেরি না করতে হত; তবে নেপোলিয়ন ওদের রিইন্ফোর্সমেন্ট আসার আগেই যুদ্ধ শেষ করে ময়দান ছেড়ে বিজয়ী বেশে চলে যেতেন।
খেলাতে সময় গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে পাঁচ মিনিট বেশি সময় চাইলে রেফারি/আম্পায়ার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থন লাগে। একবারের ঘটনা বলি, আবাহনীর খেলা। আব্দুস সাদেক হকি স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে ইব্রাহীম সাবেরকে আউট হবার জন্য বলছেন। কেননা আম্পায়ার হকি খেলা শুরু করতে আর সময় দিতে রাজি নয়। ইব্রাহীম সাবের আজাদ বয়েসের হয়ে ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলোয়াড় আর কর্তারা প্রায়ই বিমানে করে বিদেশ অহরহ যাচ্ছেন, সময় চূলচেরা পরিবর্তন করতে পারেন না তাইলে এই খেলার প্রেগ্রামে বেধে দেয়া সময়কে কেন বৃদ্ধাংগুলি দেখানো নাকি অবজ্ঞা।
সময়টাকে আমিও কাজে লাগাই, আচ্ছা এই যে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, যারা পেয়েছেন তাদের কিছু সুযোগ সুবিধা যেমন একটি কার্ড থাকবে যেখানে উল্লেখ থাকবে সুবিধা সমূহ। এমন কার্ড ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রদান করতে পারে না; ইচ্ছা করলেই সম্ভব।
এই যে অতিথিরা আসলেই কিছু ক্রীড়া লেখক/সাংবাদিক এনাদের ঝাকি জাল ফেলে ঘেরাও দিয়ে রাখেন। তারা কি কথা বলেন। পাপন সাহেবদেরকে বলা যায় কি যায় না জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের বেনিফিট নিয়ে। কে বলবে, বলেন। ডজ টজ মেরে ভীড় ঠেলে ক্রীড়াবাবুদের কাছে পৌছে- আইজ কি গরম। ২/৫ দিনে বৃষ্টি হবে না ভাই। এই জরুরি কথা পারবেন নাকি অন্যের বেনিফিট কথা বলে সময় নষ্ট করবেন। মনে রাখবেন, Lost time is never found again
লেখক : সাবেক জাতীয় এবং সেনাবাহিনী হকি দল অধিনায়ক এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো