• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:০৬

সময় বহিয়া যায়

বিএসপিএর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠাল ছিল সোনারগাঁও হোটেলে। বিকেল তিনটায় অতিথিরা আসলেন। প্রথম লাইনের সোফার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা নিমগ্ন হলেন আলাপ-চারিতায়। উনাদের প্রতি জনের সোফার সামনে বেশ জটলা। কেউ দাঁড়িয়ে আবার কেউ বসেই আগ্রহীদের সাথে বাতচিত চালাতে লাগলেন। সময় বহিয়া যায়, তিনটা কবেই পার।
 
ওয়াটার্লু যুদ্ধ। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট আর্টিলারি ম্যান ছিলেন। সকালে বৃষ্টি হওয়াতে মাঠ নরম থাকাতে তিনি কামান ব্যবহার করেন তিন ঘণ্টা পর। যুদ্ধ হয়েছিল ১৮ ই জুন। যুগ্ধ জিতে ছিলেনও কিন্তু শেষ বিকেলে রিইন্ফোর্সমেন্ট পেয়ে যায় ওয়েলিংটন,  যদি কামান ব্যবহারে তিন ঘণ্টা সময় দেরি না করতে হত; তবে নেপোলিয়ন ওদের রিইন্ফোর্সমেন্ট আসার আগেই যুদ্ধ শেষ করে ময়দান ছেড়ে বিজয়ী বেশে চলে যেতেন। 
 
খেলাতে সময় গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে পাঁচ মিনিট বেশি সময় চাইলে রেফারি/আম্পায়ার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থন লাগে। একবারের ঘটনা বলি, আবাহনীর খেলা। আব্দুস সাদেক হকি স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে ইব্রাহীম সাবেরকে আউট হবার জন্য বলছেন। কেননা আম্পায়ার হকি খেলা শুরু করতে আর সময় দিতে রাজি নয়। ইব্রাহীম সাবের আজাদ বয়েসের হয়ে ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলোয়াড় আর কর্তারা প্রায়ই বিমানে করে বিদেশ অহরহ যাচ্ছেন, সময় চূলচেরা পরিবর্তন করতে পারেন না তাইলে এই খেলার প্রেগ্রামে বেধে দেয়া সময়কে কেন বৃদ্ধাংগুলি দেখানো নাকি অবজ্ঞা। 
 
সময়টাকে আমিও কাজে লাগাই, আচ্ছা এই যে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, যারা পেয়েছেন তাদের কিছু সুযোগ সুবিধা যেমন একটি কার্ড থাকবে যেখানে উল্লেখ থাকবে সুবিধা সমূহ। এমন কার্ড ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রদান করতে পারে না; ইচ্ছা করলেই সম্ভব।
 
এই যে অতিথিরা আসলেই কিছু ক্রীড়া লেখক/সাংবাদিক এনাদের ঝাকি জাল ফেলে ঘেরাও দিয়ে রাখেন। তারা কি কথা বলেন। পাপন সাহেবদেরকে বলা যায় কি যায় না জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের বেনিফিট নিয়ে। কে বলবে, বলেন। ডজ টজ মেরে ভীড় ঠেলে ক্রীড়াবাবুদের কাছে পৌছে- আইজ কি গরম। ২/৫ দিনে বৃষ্টি হবে না ভাই। এই জরুরি কথা পারবেন নাকি অন্যের বেনিফিট কথা বলে সময় নষ্ট করবেন। মনে রাখবেন, Lost time is never found again
 
লেখক : সাবেক জাতীয় এবং সেনাবাহিনী হকি দল অধিনায়ক এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।