• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৪

এশিয়া কাপ ১৯৮৫ দেশের হকির কর্নার স্টোন

১৯৮২ সনের প্রথম এশিয়া কাপ হকি হয়ে ছিল করাচিতে। দ্বিতীয় খেলাতেই বাম পায়ের হাঁটুতে চোট পেলাম, সাদেক ভাই টিম ম্যানেজার। আমার হাঁটতেই কষ্ট, তাকে বললাম পরের খেলা খেলতে পারব না। বললেন খেলতে হবেই। আবারো না খেলার কথা বলতেই- রোগে বললেন আসছিলা ক্যান। খেলতে হবে, আস্তে বললাম একষ্ট্রা হাফ ত আছে। সেটা জানি তবে তুমিই খেলবে।পরের খেলাতে মাঠে নামার আগে ডেকে বললেন- তুমি বিচ হলে ধরতে পারবে না। তাই বুঝে ষ্টিক ফেলবে আর বল পেয়েই ডিষ্ট্রিবিউট করবে। পুরো টুর্নামেন্ট ভাল খেললাম। দেশে আসার পর দুদিন শুধু অফিস করলাম। সকাল-বিকালের প্রাকটিসে গেলাম না। আর্মি থেকে বলা হল কেন প্রাকটিসে নাই। কর্নেল ফেরদৌস বললেন সিএমএইচে যাও। গেলাম, একদিন পর এক্সরে রিপোর্ট আসল। বাম পায়ে লোয়ার পযাটেলা ফ্রাকচার। সিএমএইচে এ্যাডমিট। আসলেন সাদেক ভাই। হরলিক্স ফল ফলাদি নিয়ে। বাহবা দিলেন। 
 
দ্বিতীয় এশিয়া কাপ ঢাকায়। টিম সিলেকশন। এহতেশাম ভাই কোচ, প্রতাপ দা টিম ম্যানেজার। এহতেশাম ভাইকে রিনা বলল- আমার কথা। বললেন, চাকলাদার বাদে কে আছে ক্যাপ্টেন হবার? হকির প্রেসিডেন্ট জেনারেল মতিন বললেন আমি চাকলাদারকে ক্যাপ্টেন করার প্রস্তাব রাখলাম। এহতেশাম ভাই আর প্রতাপ দা দাঁড়িয়ে বললেন চাকলাদার ক্যাপ্টেন হলে অমরা রিজাইন করব। জেনারেল মতিন শুনলেন বললেন আপনাদের পদত্যাগ গ্রহন করা হল। সাব্বির ইউসুফ ভাই ম্যানেজার আর মহসিন ভাই কোচ। প্রতাপ দা গ্রাউন্ডস কমিটির দায়িত্ব রইলেন। ইরান কে তিন গোল, চীনের সাথে ড্র, জাপানের সাথে ড্র, মালয়েশিয়ার সাথে ড্র করলেই সেমিফাইনাল উঠলাম। খেলার আগের রাতে প্রতাপ দা ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি এনে পুরে মাঠ এ্যাংকল ডিপ পানিতে ডুবিয়ে দিলেন। 
 
মালয়েশিয়ারা এ্যাষ্ট্রোটার্ফে মানে ভিজা মাঠে খেলার উপযুক্ত। স্টাডওয়ালা বুট পরে খেলে। আর আমরা সাধারণ কেডস। ভিজা মাঠে প্রত্যেকেই ১০/১২ বার আছার খেয়ে হেরেই গেলাম। প্রতাপ সাহেব সফল। তবে সাসপেন্ড হলেন আজীবনের জন্য। তারপর  ক্ষমা ভিক্ষা করে টিকে রইলেন হকিতে। বাংলাদেশ ক্রীড়ামহলের ঘাতকতার জন্ম নিল। সেই নির্লজ্জ হিংসুকরা আজও দাপিয়ে বেড়ায় ক্রীড়াঙ্গনে।
 
২০১৭ সনের এশিয়া কাপের আগে পরিচিতি অনুষ্ঠান। আমাকে স্টেজে বক্তব্য দিতে ডাকল। সাদেক ভাইয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। আস্তে ডাকলেন, মাথা নীচু করলাম, বললেন প্রতাপ যা করেছে তা নিয়ে কিছু বল না। বললাম না। ক্রীড়াঙ্গনের স্মৃতিকথায় এই গল্প কি করে বাদ দিই। তাই জানিয়ে রাখলাম।
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।