• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৭

ভারতের বিপক্ষে জয়ে সিরিজ শুরু চায় বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসেবে এবার ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। রবিবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। স্বাগতিক দলের সহ-অধিনায়ক নাহিদা আক্তার প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এবার মাঠে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে চান তারা। বাঁহাতি এ স্পিনার বলেন, ‘নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকায় আমরা এখানে খুবই ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আরও একটা দিন আছে, আশা করি ভালো প্রস্তুতি হবে। ব্যাটাররা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। বোলাররাও খুব ভালো করেছে।’ ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলে বাংলাদেশ নারী দল। এই দলটিকে হারিয়েই এশিয়া কাপ জিতেছিলেন সালমা খাতুনরা। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের মহড়া হয়ে যাবে বাংলাদেশের। নাহিদার মতে, ‘নিশ্চিতভাবে ভালো না খেললে তো ম্যাচ জেতা যাবে না। যেদিন ভালো খেলব, সেদিন ম্যাচ জিতব। সো আমাদের চেষ্টা থাকবে ভালো খেলে কীভাবে জয়লাভ করতে পারি সে চেষ্টা করা। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো কিছু করতে পারব।’
 
প্রথম ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় দৃশ্চিন্তার নাম আবহাওয়া। যদিও প্রচন্ড তাপদাহে মেয়েদের দুশ্চিন্তা নেই, দৃষ্টি কেবল ভারতবধে। সামনেই নারী এশিয়া কাপ। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বসতে যাচ্ছে মহাদেশীয় এ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আর অক্টোবরে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের মেয়েদের এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। নতুন দুই মিশনের জন্য লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে ভারতও। ভবিষ্যৎ ট্যুর প্ল্যানের ফাঁকা স্পটে দুদেশের মেয়েরা খেলতে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজটির জন্য দিন কয়েক ধরেই প্রচন্ড তাপদাহকে উপেক্ষা করেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে দুদল। তীব্র গরমে অনুশীলন করতে গিয়েই নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে নারী ক্রিকেটারদের। অবিশ্বাস্য রকমের ক্লান্তি ভর করছে নিগার সুলতানা জ্যোতি ও হারমানপ্রীত কাউরদের ঘাড়ে।
 
যদিও মাঠের লড়াই তো এখনো শুরুই হয়নি। তাতেই এই করুণ দশা। আর মূল লড়াই মাঠে গড়ালে মেয়েদের যে অবর্ণনীয় ধকল পোহাতে হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতের মেয়েরা তো থাকবেনই মাঠে। তার সঙ্গে ফারজানা হক-মারুফা আক্তারদের লড়তে হবে ভয়াবহ গরমের বিরুদ্ধেও। মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহের চোখরাঙানিকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে খেলতে হবে নারী ক্রিকেটারদের। দেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের আবহাওয়ার বর্তমান বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে শারীরিক ও মানসিকভাবে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। প্রকৃতির ভয়ানক চেহারার বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিজেদের প্রস্তুত করছেন খেলোয়াড়রা। যে গরম পড়ছে, সবার কষ্ট হচ্ছে। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এ নিয়ে অজুহাত দেওয়া উচিত নয়। খেলোয়াড়রা এখন খেলায় মনযোগ রাখছি।’ গরমের মাঝে যতটুকু অনুশীলন করতে পেরেছেন তাতে সন্তুষ্ট নাহিদা। দলের প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচের আগেরদিন ফটোসেশনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘আমরা এখানে খুবই ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আরও একটা দিন আছে। আশা করি, ভালো প্রস্তুতি হবে। সিলেটে আসার পর আমাদের বোলার ও ব্যাটাররা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে’।
 
ভারতের বিপক্ষে এ স্বপ্নযাত্রায় সুখস্মৃতি আর পরিসংখ্যানও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েদের। ফাহিমা-স্বর্ণারা ভারতের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে এর আগে হোম কন্ডিশনের ফায়দা লুটেছে বেশ কয়েকবার। নাহিদাদের সেই মধুর অতীত আবার নিকট ভবিষ্যতের। গেল বছর শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ভারতের মেয়েদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা গড়ে তুলেছিলেন। জমে উঠায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবশ্য ভারত শেষ হাসি হাসে ২-১ ব্যবধানে। দাপুটে পারফরম্যান্সে একদিনের তিন ম্যাচের সিরিজটি তো অমীমাংসিত থেকে যায় ১-১ এ। লাল-সবুজের জার্সিধারীদের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স ঢাকা পড়ে যায় ভারতের ক্রিকেটারদের স্লেজিং, বাজে আচরণ আর বিতর্কের আড়ালে। নতুন সিরিজের আগে মাঠের এবং মাঠের বাইরের পুরোনো ইস্যুগুলোর পুনরুত্থান হয়েছে। তবে নাহিদার অবশ্য কোনো ইচ্ছেই নেই সেই পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটার। তাই তো জোর দিয়েই জানালেন, দলের চোখ কেবল মাঠের লড়াইয়ে, ‘আমরা ওটা চিন্তা করছি না। আমরা চিন্তা করি মাঠে কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলব, কীভাবে জয় পাব।’
 
কিভাবে প্রতিবেশী ভারতের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্ধীকে ধরাশায়ী করা সম্ভব, সেটা বেশ ভালোই করেই জানেন নাহিদারা। অতীতে ভারতকে হারানোর স্মৃতি ঘাটলে ব্যাপারটা হয়ে যাবে স্পষ্ট। ঘূর্ণি বিষ ছড়াতে বাংলাদেশের মেয়েদের স্পিন অস্ত্র ভান্ডার দারুণ সমৃদ্ধ। আর মারুফা আক্তারের অন্তর্ভুক্তি দলের পেস আক্রমণের ধারকে করেছে আরও শাণিত। ভারতের প্রতাপশালী ব্যাটিং লাইনআপকে রুখার জন্য বোলিং ডিপার্টমেন্টের অভিজ্ঞতাই এখন দেশের অদম্য মেয়েদের আসল শক্তি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ৩০ এপ্রিল। ২ ও ৬ মে হবে তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ হবে ৯ মে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম দুই ও শেষ ম্যাচ হবে দিনে-রাতে। ডে-নাইট ম্যাচগুলো শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। একই ভেন্যুর আউটারে তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে দিনের আলোতে। শুরু হবে দুপুর ২টায়।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।