খেলার মাঠে যাবার সময় যদি দুইটি শালিক দেখি; তবে খেলা ভাল হবেই এই শক্তি নিয়ে মাঠে যাওয়া যায়। খেলার জন্য মাঠে ঢুকার সাদা লাইন পার হবার সময় ডান পা দিয়ে ঢুকলে; মনে একটা প্রশান্তি আসেই। খেলা শুরুর আগে ব্রিফিং হয় , সেখানে অল্পের ভিতর বলে দেয়া হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কি চাচ্ছে।
ওয়ারি ক্লাব আর ভিক্টোরিয়া দুটোই বহু পুরাতন ক্লাব। ওয়ারি ক্লাবের মমিন ভাই ব্রিফিংএ হলে দিলেন খেলা যাতে ড্র হয়। ব্রিফিংএ দলের সেন্টার ফরওয়ার্ড মনসুর ছিলেন না, তাই সুযোগ পেয়ে গোল করে দেয়। ভিক্টোরিয়ার আলমগীর আদেল আর ওয়ারীর মমিন ভাইর কথা হয়ে ছিল ড্র করে এক পয়েন্ট দিয়ে ‘বি’ ডিভিশনে নেমে যাবার থেকে ভিক্টোরিয়াকে রক্ষা করবে। এ গোল হবার পর মমিন ভাই আর মাঠের সব খেলোয়াড় চেষ্টা করে গোল শোধ করে ভিক্টোরিয়াকে ‘বি’ ডিভিশনে নামা থেকে রক্ষা করে।
মাঠে দর্শক আসে না। এই দর্শক জমা করার বিভিন্ন ত্রিকর আছে। প্রায়ই হকি মাঠে অনেক আগেই চলে যেতাম, দেখতাম পল্টন ময়দান কতই না ব্যস্ত। যে দিকটা হকি স্টেডিয়ামের কাছে। সেখানে এক লোক কড়া রৌদ্রে আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়ে, কি দেখছে। বেটা একাই সব দেখে ফেলল। আস্তে আস্তে এক দুই করে লোক বেড়ে যখন অনেক তখন সে শুরু করল। ভাই সব এই যে আমার হাতে গাছের শিকড়টা এটা দিয়ে মানে ওই শিকড়টা হল বিশ্বের সব রোগ ভাল হবার একমাত্র মহৌষধ।
লোক সমাগম তৈরির তরিকা জানতে হয়। হকিতে এখন দর্শক নাই। হকি কর্মকর্তাদের আকাশের দিকে তাকিয়ে লোক জড়ো করা নৈবচ্য তবে খেলার আগ্রহ ছড়িয়ে দেবার জন্য প্রচার দরকার। প্রচারেই প্রসার। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় বিল বোর্ডে হকিকে ফুটিয়ে তুলুন। মাসে অন্তত দুই একবার সেমিনার করুন। ক্রিকেট আর ফুটবলের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করুন। ঢাকার লোক ক্রীড়াপ্রেমী, এদের অবজ্ঞা করলে প্রেম বেশীদিন কন্টিনিউ করবে না।
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় এবং সেনাবাহিনী দল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো