১৯১৪ সালের ৮ মে আমেরিকাতে মা দিবসকে স্বীকৃতি দেয়। মার আবার কি প্রয়োজনে স্বীকৃতির দরকার তা বোধোগম্য নয়। আমার বাবা ঘরোয়া ব্যাপারে কোন ডিসিশন দিতেনই না, মাই সব। আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা মানে ঘর-ওপাশ আর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষ, চল পড়ার টেবিল। এটা শুধু আমার বাসা নয় আশ পাশের বাসার বন্ধুরা এ হাসাতে ফেরত আসত। এ নিয়ম শিথিল হতে হতে এখন উঠেই গেছে আর রাত আদল পেয়েছে এক ভীতিকর আস্বাচ্ছন্দের। বাবা-মা বাগান করতেন। সে ট্রেডিশন বজায় রাখতেই যেমনে পারি বাগান করছিই।
ওই যে বলে, ফুলের মতন ফুটল ভোর, অথবা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোরানের আয়াত কবিতাতে অনুবাদ করে ছিলেন—
জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি,
জোটে যদি আরো একটি পয়সা
ফুল কিনিও হে অনুরাগী।
সকালটা এমনিতেই সবার আদুরে তার উপর যদি চোখের সামনে ফুল তার সুরভির হাতছানি দেয় তবে সম্পূর্ণ দিনটাই ঝিকমিক ঝিকমিক উজ্জ্বলতায় ভরিয়ে দেয়। ফুল ভালবাসার প্রতিক। প্রেম জীবন কে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা আর প্রবঞ্চিতকে দেয় জ্বালা। এই জ্বালা যন্ত্রণায় না পরে ফুলের বাগান করুন, মনে রাখুন। আকাশের সিড়ি বেয়ে যখন সন্ধ্যাতারা এক পা দুপা করে নামতে থাকে তখন, আমার মন মনে হয় ফুলবন একটি দুটি ফুল ফুটতে থাকে। তাই ত বলি মনকে ফুলের বাগান তৈরি করুন, পরিবেশ একাই পাল্টে দিকে পারবেন।
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক; জাতীয় এবং সেনাবাহিনী দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার জয়ী