• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:১৯
সামুদ্রিক ঝড় মোকাবিলা

টেকসই বাঁধ নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে

  • মত-দ্বিমত       
  • ৩০ মে, ২০২৪       
  • ৫২
  •       
  • ৩১-০৫-২০২৪, ০১:০৪:৫১

পথরেখা অনলাইন : সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় ঘনঘন সামুদ্রিক ঝড় সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী দিনে সামুদ্রিক ঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ বাস্তবতায় সামুদ্রিক ঝড় মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। এর অংশ হিসাবে উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোনো কোনো এলাকায় চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক উদ্যোক্তা। বস্তুত সামুদ্রিক ঝড়ের তাণ্ডবে বারবার বিপর্যস্ত হন দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। অতীতেও আমরা লক্ষ করেছি, জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন স্থানে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের খবরও আমরা পেয়েছি।

বরাবরের মতো এবারও দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কয়েকদিন আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের বিষয়টি বিশেষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। এসব বাঁধ সংস্কারে প্রতিবছর ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। বাঁধ সংস্কারে অপর্যাপ্ত বরাদ্দের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানহীন কাজ, নকশায় ত্রুটি ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বেড়িবাঁধ টেকসই হচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে কাজে না লাগানোর কারণেই বারবার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এসব দিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। বাঁধ তৈরির পর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়েও জোর দেওয়া দরকার। এ কাজে স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী দিনে সামুদ্রিক ঝড়ের সংখ্যা ও মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, সেহেতু টেকসই বাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই।

উপকূল এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী। এ পেশার মাধ্যমে তারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। জাতীয় অর্থনীতিতেও রয়েছে তাদের বড় অবদান। কাজেই উপকূলবাসীর জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বারবার আঘাত হানছে, সেহেতু উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিও চাঙা থাকবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব রাখবে। সাধারণত বাঁধ নির্মাণের পরই দুর্নীতির বিষয়টি আলোচনায় আসে। আমরা মনে করি, বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলা দরকার। এসব কাজে সঠিক উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দ্রুত তদন্ত করতে হবে; অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকূলীয় বাঁধ এবং উপকূলীয় বনায়ন প্রকল্পের সমন্বয়সাধনে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। এ ধরনের প্রকল্প থেকে বেশি মাত্রায় সুফল পেতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, দরকার অব্যাহত গবেষণাও।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।