• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪১

গুজব থেকে সাবধান

  • মত-দ্বিমত       
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
  • ৪৯
  •       
  • ২৪-০৯-২০২৪, ১৭:১৯:৪২

এম আর রুবেল,পথরেখা অনলাইন : চারদিকে গুজব। ব্যাক্তিস্বার্থ, রাজনৈতিক স্বার্থসহ নানা স্বার্থে যে যার মতো ছড়িয়ে দিচ্ছেন গুজবের ডালপালা। যা আতংকিত করছে সাধারণ মানুষকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভাবে বেশ কিছু  অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে দেশে।

এরমধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কিছু আক্রমণ করা হয়। হামলা হয়েছে আওয়ামী সরকার সমর্থিত নেতা কর্মীদের বাড়িতেও। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের হিন্দুরা আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং তাদেরও বেশ কিছু নেতা রয়েছে যেখানে দুষ্কৃতকারীরা হামলা করেছে হিন্দু হিসেবে নয়, আওয়ামী লীগ হিসেবে।

কিন্তু দেখা গেছে হামলা সহিংসতা নিয়ে এখন শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি। যেখানে গুজব ছড়িয়ে ধর্মকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশের মানুষ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একসাথে বসবাস করে। তাই সহিংসতার সময় দেখা গেছে সাধারণ ছাত্র জনতা, এমনকি মাদ্রাসার ছাত্ররাও মন্দির এবং হিন্দুদের সম্পত্তিগুলো পাহারা দিয়েছে। রক্ষা করেছে অনেকের বাড়ি ঘর সম্পত্তি।

কিন্তু এরমাঝেও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অতিরঞ্জিত খবর। মিথ্যা গুজব চারদিকে ছড়িয়ে দেখানো হচ্ছে ভয়। যা আতংকিত করছে মানুষকে। বাড়ছে সহিংসতা। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।  

সুপ্রিয় পাঠক, কোন কোন হিন্দু স্থাপনা এবং বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে তার একটা লিস্ট, ছবিসহ প্রকাশ করা দরকার। ইন্টারনেটের যুগে কোন কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না। তাই যেখানে যা সহিংসতা হয়েছে তা প্রকাশ করা হোক। গুজব রটেছিল লিটন দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরে লিটন দাস নিজেই বিবৃতি দিয়ে বলেছেন তার বাড়ি ভাংচুর করা হয়নি।

সুপ্রিয় পাঠক, ভারতীয় মিডিয়ায় অবিশ্বাস্য রকম বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। তারা ভারতীয় জনগণকে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা সংবাদ এর মাধ্যমে ভ্রান্ত ধারণা দিচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমকে তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দরকার। ভারতের সাথে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশেরই সম্পর্ক ভালো নেই, এমনকি পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সাথেও তার সম্পর্ক অবনতির দিকে। ভারতের আধিপত্য মূলক ফরেন পলিসির কারণে ছোট ছোট দেশগুলোর সাথেও দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। তাই এখনই আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

গত স্বৈরাচার সরকার রাজাকার বিষয়ে মিথ্যা রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন। এতে সমাজের মধ্যে গভীর বিভেদ ও ক্ষতের সৃষ্টি  হয়।

সবার প্রতি অনুরোধ ব্যাক্তি স্বার্থে অযথা গুজব ছড়িয়ে আর বিভেদ সৃষ্টি করবেন না যাতে করে সম্পর্কের অবনতি হয়।  বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণ এবং বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ সেকুলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সবাই চায় এখন দুর্নীতিমুক্ত অসাপম্রদায়িক এক লাল সবুজের বাংলাদেশ।

তাই কোনো গুজব নয়, সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে সকলে মিলে দেশটাকে এখন নতুন করে গড়া দরকার। এগিয়ে যাওয়া দরকার সামনের দিকে। তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে হাঁটতে চাই সবাই নতুন এক বিশ্বের দিকে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।