• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১০

‘কেউ ক্লাসে নিতে চান না সবাই ভিসি হতে চান’

পথরেখা  অনলাইন : পরিকল্পনা ও  শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না। কেউ ভিসি, কেউ প্রো-ভিসি হতে চান।

সোমবার (৭ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

একনেকের সভার সিদ্ধান্ত জানাতে ব্রিফিংয়ে আসেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ সময় মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। রিং টোনের শব্দে উপদেষ্টা ফোনটি ধরলেন না। তবে তিনি যে বিরক্ত তা বোঝা গেল প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে করা স্বগতোক্তিতে। ওয়াহিদউদ্দিন বলতে থাকলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের এত শিক্ষক… ৩০০-৪০০-৫০০ শিক্ষক সবাই কেন এত ভিসি হতে চায়, আমি বুঝি না।”

এসময় নিজের কথাও তুলে ধরে বলেন, “আমি তো কখনও ভিসি হতে চাইইনি।…শত শত ভিসি হতে চান, প্রো-ভিসি হতে চান, ইনারা পড়াতে চান না কেন। বুঝতে পারছি না আমি।”

পরে উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্প ধীরগতিতে এগুলোর অর্থপ্রবাহ বাড়বে না। অর্থপ্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে, চলমান প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির আগে এর ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতদিন সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কতগুলো গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় আছে, কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখবে সরকার। প্রকল্প শেষ হলে গাড়িগুলো কেন আর খুঁজে পাওয়া যায় না, সবকিছু যাচাই করা হবে।

উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন পরিকল্পনার পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও আছেন। সেই মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকল্প এই বৈঠকে অনুমোদন হয়নি। তবে সেই ফোনের কারণেই সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আসে আলোচনায়।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ পদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সরিয়ে দেওয়া হয় অথবা তারা নিজেরাই সরে যান। সেসব পদে পুনর্নিয়োগের কাজ গত দুই মাসেও শেষ হয়নি।

শিক্ষা উপদেষ্টা এর আগেও এসব পদের বিপরীতে তদবির পাওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তবে একনেক বৈঠকের পর ফোন পেয়ে এ বিষয়ে আর কথা বাড়াননি তিনি।

পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।