• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৯

প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে এবার আফগান চ্যালেঞ্জ

পথরেখা অনলাইন : পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারানোর পর থেকে সাফল্যহীন বাংলাদেশ দল। ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে শতভাগ ব্যর্থতার পর দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও অব্যহত থাকে সেই ধারা। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার চেয়ে বড় ছিল নেতিয়ে পড়া পারফরম্যান্স। লজ্জায় মাথাবনত হওয়ার মতো পারফরম্যান্স দিয়ে হতাশা ছড়িয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেই ব্যর্থতা ভুলতে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে আফগানদের মুখোমুখি হওয়ার আগে যদিও নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ঘরের মাঠে সব মিলিয়ে ১৮টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ১৪ জয়ের বিপরীতে হার মাত্র চারটিতে। চার হারের দুটিই আবার সর্বশেষ তিনটি সিরিজে। যদিও ‘স্পিড স্টার’ নাহিদ রানা ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাননি। নাহিদ প্রথমবারের মতো টাইগার ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন। নাসুম ফিরেছেন মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর। ভিসা পাননি বলে দুজনকে রেখে দল দুই ধাপে শারজাহ গেছে।
 
মরুশহর শারজাহতে নাজমুল বাহিনী ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ম্যাচ তিনটি হবে যথাক্রমে ৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর। বুধবার প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বিকাল চারটায়। এখনো নিশ্চিত নয় নাহিদ ও নাসুমের ভিসা পাওয়ার বিষয়টি। যদি না পান, তাহলে কি ১৩ সদস্যের স্কোয়াড নিয়েই খেলতে হবে টাইগারদের? আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে নাজমুলদের কঠিন লড়াই করতে হবে রশিদ খানের লেগ স্পিন, মুজিব-উর রেহমানের রহস্যময় অফ স্পিন, ফারুক হক ফারুকীদের সুইং ও গতির বিরুদ্ধে। যদিও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে পরিসংখ্যানে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। ১৬ ওয়ানডের ১০টিতে জিতেছে এবং দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখির ওয়ানডেতেও হেসেছে টাইগাররা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ধর্মশালায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতেছিল। দুই দল সর্বশেষ যে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল গত বছর, সিরিজটি জিতেছিল আফগানিস্তান।
 
সেবার অবশ্য সিরিজের শেষ ম্যাচে হেসেছিল টাইগাররা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন নাজমুলরা। মার্চে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। প্রথম দুটি হেরে শেষটি জিতেছিলেন নাজমুলরা। চলতি বছর টেস্ট সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। পাকিস্তান ছাড়া বাকি তিন সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছেন নাজমুলরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলে নাজমুল বাহিনী চেন্নাইয়ে ২৮০ রানে হারের পর কানপুরে হারে ৭ উইকেটে। ভারত সফরে চরমভাবে বিপর্যন্ত হয়ে ঘরের মাটিতে মুখোমুখি হয় অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এবারও লড়াই করতে পারেনি। হেরে যায় অসহায়ভাবে। পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা টাইগাররা টানা দুই টেস্ট সিরিজ হেরে মরুশহর শারজাহতে উড়ে যায়। যদিও চট্টগ্রাম টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হঠাৎ টাইগারদের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। তার এই ইঙ্গিতে নড়ে চড়ে বসেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
 
বিসিবি সভাপতি চট্টগ্রামে কথা বলেন নাজমুল ও মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গে কথা বলার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করে নির্বাচক প্যানেল। দলনায়ক হিসেবে নাজমুলকেই রাখা হয়। তার সহকারী রাখা হয় মিরাজকে। শারজাহতে এবারই প্রথম খেলছে না বাংলাদেশ। এর আগে আরও ৫টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে এখানে। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালে। প্রথম খেলে ১৯৯০ সালে অস্ট্রাল-এশিয়া কাপে। ওই আসরে দুটি ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৬১ রান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ৭ উইকেটে। ১৯৯৫ সালে এশিয়া কাপে হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছে ১০৭ রানে, ভারতের কাছে ৯ উইকেটে ও পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে। ২৯ বছর পর পুনরায় খেলবে শারজাহতে। অবশ্য এখানে টাইগাররা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ৩টি। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ রানে এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল ৫ উইকেটে।
 
২০২২ সালে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল ৭ উইকেটে। পরিচিত শারজাহতে এবার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে খেলবেন নাজমুলরা। কিন্তু কতটা পারবেন সময় বলবে। সাম্প্রতিক সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে আফগানিস্তানের। কয়েক দিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিকে ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ একটা লম্বা সময় খেলার বাইরে বাংলাদেশ। প্রায় আট মাস হতে চলল ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেনি বাংলাদেশ। এমনি অবস্থায় আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের লড়াইয়ে নামছে টাইগাররা। এদিকে একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
 
বাংলাদেশ দল : সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।