• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:২০

জাতীয় লিগে সিলেটকে প্রথম শিরোপা এনে দিলে কোচ রাজিন সালেহ

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : খেলোয়াড় হিসেবে অনেকগুলো জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছেন রাজিন সালেহ। কিন্তু শিরোপার নাগাল পাননি, উল্টো ব্যর্থতার সাগরে হাবুডুবু খেতে হয়েছে। এবার কোচ হিসেবে সেই অরাধ্য শিরোপা জয় করলেন রাজিন। জাতীয় দলের সাবেক এই সহকারী কোচ সিলেট বিভাগের হয়ে শিরোপা করলেন। বলা যায় বড় একটা অর্জনই হয়েছে পূন্যভুমির। এক রাউন্ড বাকি থাকতেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগ। অবশ্য আগেই বোঝা গিয়েছিল জাতীয় লিগের শিরোপা যাচ্ছে সিলেটের ঘরে। রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদের কারণে গতকালই শিরোপার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল সিলেট। যদিও বরিশালের ১০৫ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই ২ উইকেট হারায় তারা। তবে অধিনায়ক অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদ দারুণ জুটিতে মিলে গেল পার হয়ে যায় সেই লক্ষ্য। বরিশাল বিভাগকে হারানোর পাশাপাশি জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো সিলেট বিভাগ।
 
মঙ্গলবার আসরের ষষ্ঠ রাউন্ডে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। ছয় ম্যাচে চারটি জয় ও দুটি ড্রয়ে শিরোপাজয়ী সিলেটের পয়েন্ট ৩৭। দুইয়ে থাকা ঢাকা বিভাগ সমান ম্যাচে দুটি জয় ও চারটি ড্রয়ে অর্জন করেছে ২৫ পয়েন্ট। জাতীয় লিগের আর একটি রাউন্ড বাকি থাকায় তাদের পক্ষে সিলেটকে টপকানো সম্ভব না। সিলেট ম্যাচের শেষদিনে নামে ১০৫ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তারা। সেই ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন অমিত ও নাসুম। ৫২ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৪ রান করা নাসুম আউট হন জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে। সিঙ্গেল নিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেন অধিনায়ক অমিত। উল্লাসে মাতানো অমিত অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩৮ রানে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩০৪ রান।
 
পেসার রাজা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৯ রান খরচায়। জবাব দিতে নেমে ৩৪২ রান করে সিলেট। ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পাওয়ায় বড় অবদান ছিল তোফায়েল ও রাজার। নবম উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন। তোফায়েল ৮৪ বলে ৬৪ ও রাজা ১৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। আগের দিন বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় খালেদ ও তোফায়েল রাখেন মূল ভুমিকা। খালেদ ৪ উইকেট দখল করেন ১৮ রানে। তোফায়েল ৩ উইকেট পান ১৭ রানের বিনিময়ে। বোলিং বিভাগের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ ও শিরোপা জেতার  কাছে চলে যায় সিলেট। শিরোপার সুবাস আগেই পাচ্ছিল সিলেট। অপেক্ষা ছিল শুধু সময়ের। ২০২৪-২৫ জাতীয় ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সিলেট বিভাগ। ঘরের মাঠে বরিশাল বিভাগকে হারিয়ে জাতীয় লিগের প্রথম শিরোপার স্বাদ পেল ‘দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ’। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটির প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন রাজিন সালেহ।
 
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় দলের সাফল্য নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন। সুযোগ পেলে জাতীয় দলে কোচিং করাতে চান বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। অনেকের কাছে রাজিন লাল সবুজ ক্রিকেটের ট্র্যাজিক হিরো হিসেবে বিবেচিত। যোগ্যতা থাকলেও দীর্ঘসময়ের জন্য সার্ভিস পাননি। সিলেটকে চ্যাম্পিয়ন করানো দলের প্রধান কোচ হিসেবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, চ্যাম্পিয়ন ব্যপারটি সবসময়ই অন্যরকম। আর সিলেট বিভাগের জন্য এনসিএলের প্রথম শিরোপা জয়ে সঙ্গী হতে পারায় খুব ভাল লাগছে। এটাকে একটা বড় সফলতা আমি মনে করি। লিগ চালুর ২৩-২৪ বছর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিলেট চ্যাম্পিয়ন হলো জাতীয় লিগে, এটা আমার জন্য একটা বড় একটা পাওয়া। ক্রিকেটার হিসেবে না পারলেও কোচ হিসেবে করতে পারায় আনন্দটা একটু বেশিই হয়েছে তার।
 
লিগ শুরুর আগে সিলেট বিভাগকে নিয়ে কেউই আগাম ধারনা পাননি। কিন্তু রাজিন দলকে শিরোপার জন্যই তৈরি করেছিলেন, আমরা যখন শেষ ম্যাচটা খেলে সিলেট আসলাম তখন আমাদের মধ্যে একটা চিন্তা হয়েছিল যে বরিশালের সাথে আমরা ম্যাচটা জিতব। কারণ আমাদের বোলিং লাইন তাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তারপরও প্রথম ইনিংসে ঠিকমতো করতে পারিনি, তবে আমাদের একটা বিশ্বাস ছিল যে প্রথম ইনিংসে বরিশাল ভালো করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ভালো করব। এই বিশ্বাসটা আমাদের কাজে লেগেছে এবং আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলে ম্যাচটা জিতে নিয়েছে। আবার শেষ ইনিংসে বোলাররাও দারুণ করেছে। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখার বিষয়ে রাজিন বলেন, সুযোগ পেলে জাতীয় দলের হয়ে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হয়ে কাজ করা এটা গর্বের বিষয় বলে মনে হয়। আমাকে যদি কাজ করার সুযোগ দেয় আমি অবশ্যই রাজি আিছ। আগেও এসেছিলাম কোচ হয়ে, ভবিষ্যতেও সঠিক পারিশ্রমিক পেলে আসতে চাই।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।