• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:৩৪

ঢাবি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে শাটল বাস সার্ভিস নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে

পথরেখা অনলাইন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য চালু হওয়া শাটল বাস সার্ভিস শিক্ষাজীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে । সার্ভিসের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।  

গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন), সকল অনুষদের ডীন, প্রক্টর এবং অফিস প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

পহেলা ডিসেম্বর থেকে সার্ভিসটি পুরোদমে চালু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বাস ব্যবহারের হার তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও ক্রমাগত এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ৩টি রুট নির্ধারণ করে ৩টি বাস দিয়ে শাটল সার্ভিস চালানো হচ্ছে। এ সকল রুটে সকাল সোয়া ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রতি ১০ মিনিট পর পর বাস চক্রাকারে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট স্টপেজে পৌঁছে দিচ্ছে।

কোষাধ্যক্ষের নির্দেশে গত ৪ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ ২ দিনের জন্য শাটল বাস ব্যবহার সংক্রান্ত একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপে ৩টি শাটল বাসে ৩ জন তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করে বাস ব্যবহারকারীর সংখ্যা, রুট ভিত্তিক প্রতি ট্রিপে সময় নির্ধারণসহ যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রতিটি গাড়ি সর্বোচ্চ ১৬টি রাউন্ড ট্রিপ দিতে পেরেছে এবং প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী শাটল সার্ভিসের সুবিধা ভোগ করছেন।

পূর্বে শিক্ষার্থীরা এধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবা থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল।

শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, শাটল বাস ব্যবহারে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। জরিপে দেখা গেছে শাটল বাস ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা এবং ক্লাসে যেতে অনেকটা আর্থিক সাশ্রয় লাভ করছেন। এ সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ হয়েছে।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস থেকে ইনস্টিটিউটে যাতায়াতের জন্য প্রথমবারের মতো একটি নতুন রুট চালু করেছে। উক্ত রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একটি মিনিবাস প্রতিদিন ২টি আপ ও ২টি ডাউন ট্রিপ দিচ্ছে। প্রশাসনের এই তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। পূর্বে সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য রিক্সা অথবা ভাড়ায় চালিত যানবাহন ব্যবহার করতেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে নীলক্ষেত মোড় থেকে অতি সহজেই শাটল বাস এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত  মিনিবাস দ্বারা ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে পারছেন।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।