পথরেখা অনলাইন : ঋতুগত কারণে এখন শীতকাল চলছে। এ সময় ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পরিধান করা হয়। খাদ্যতালিকায়ও পরিবর্তন আনা হয়। শরীর গরম রাখবে এমন সব খাবার খাওয়া হয়। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এ সময় স্বাস্থ্যের অবস্থা কম-বেশি সবারই খারাপ হয়।
শীতে সুস্থ থাকা সবারই জরুরি। আর এই সুস্থ থাকার জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন। শীতকালে ছোট ছোট কিছু পরিশ্রম এবং একটু সতর্ক থাকলে সুস্থ থাকা সম্ভব। এ নিয়েই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদান করা ওয়েবসাইট ইনডাস হেলথ প্লাস। এবার তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ: শীতে সুস্থ থাকার জন্য গোটা শস্য, চর্বিহীন মাংস, মাছ, মুরগি, লেবু, বাদাম, বীজ, ভেষজ ও মশলাসহ খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি সবুজ শাক-সবজি ও তাজা ফলসহ সুষম খাদ্য খেতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম: শীতের পুরো সময় নিজেকে ফিট রাখার জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক রুটিন অনুযায়ী যোগব্যায়াম বা যে কোনো ধরনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আপনাকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ফ্লু ও সর্দি-কাশির মতো মৌসুমী অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
ত্বকের সমস্যা দূর: শীতে সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে ত্বক নিয়ে। এ সময় প্রায় সবার ত্বকেই টান ধরে। আর যদি আগে থেকেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ থাকে, তাহলে তো বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এ জন্য ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি, ঠোঁট ফাটা ও গোড়ালি ফেটে যাওয়া রোধে হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যত্ন নিতে হবে। এ জন্য ময়েশ্চারাইজিং, সান স্ক্রিন ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান: শীতে ঠান্ডার কারণে অনেকেই কম কম পানি পান করেন। এ সময়ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হয় এবং নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হয়। পানি শরীরের প্রক্রিয়াকে পরিষ্কার করতে ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সহায়তা করে। আবার শরীরের কোষগুলোয় পুষ্টি বহন করতে ও তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখতে সহায়তা করে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল দূর করে ও ক্যালোরি পোড়ায়। আবার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
ভিটামিন ডি গ্রহণ: শীতে বাইরে বের হয়ে হালকা রোদে নিজেকে মেলে ধরুন। এতে শরীর তার প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি গ্রহণ করে নেবে। যা স্বাস্থ্য ও অনাক্রম্যতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন ডি প্রয়োজনীয় উপাদান।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শীতকালীন রকমারি সতর্কতার মধ্যে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের হালনাগাদ জানা যায়। এ জন্য এই সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলা হয়। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়ায় হাঁপানি, গলা ব্যথা, ফ্লু, জয়েন্টে ব্যথা এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি বাড়ায়। যা থেকে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় ও হার্টে অধিকতর চাপ সৃষ্টি করে। এ জন্য আগেই সতর্ক থেকে শরীর সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
পথরেখা/এআর