• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪০

সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচ বাংলাদেশের

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : অনেকটা অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় দুই দল মুখোমুখি হবে। দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরজ নিশ্চিত করতে চায় লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। তাতে করে ওয়ানডে সুপার লিগে বড় ধরনের পরিবর্তন না হলেও বাংলাদেশের শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ৩ ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে ষষ্ঠস্থানে উঠবে বাংলাদেশ। বর্তমানে ৯১ রেটিং নিয়ে র‌্যাংকিংয়ের সপ্তমস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
 
প্রথম ম্যাচে ঠিক খাদের কিনারা থেকে জয় তুলে এনেছে বাংলাদেশ। ২১৫ রানের মামুলি স্কোরকে তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান যখন জয়ের অপেক্ষায় ঠিক সে সময়ই ঘুড়ে দাঁড়ানোর নতুন ইতিহাস রচনা করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এমনকি বাংলাদেশী অধিনায়ক তামিম ইকবালও বিশ্বাস করতে পারেননি বাংলাদেশ জিততে যাচ্ছে। ক্রিকেট যে কতটা গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা সেটি আরও একবার প্রমাণিত হলো। 
 
 
বাংলাদেশের ঠিক পেছনেই ৯৩ রেটিং নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিদের সাথে বাংলাদেশের রেটিং ব্যবধান ২। আফগানদের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে, বাংলাদেশের রেটিং হবে ৯৪। তখন পাকিস্তান সরিয়ে ষষ্ঠস্থানে উঠবে টাইগাররা। আর সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও র‌্যাংকিংয়ের দশমস্থানেই থাকবে আফগানিস্তান। তবে ৩ রেটিং হারাবে তারা। বর্তমানে ৬৭ রেটিং নিয়ে দশমস্থানে রয়েছে আফগানরা। সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলে সপ্তমস্থানেই থাকবে বাংলাদেশ। রেটিংও কোন পরিবর্তণ না হয়ে ৯১ থাকবে। আর ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলে, ৮৮ রেটিং নিয়ে সপ্তমস্থানেই থাকবে বাংলাদেশ। আর আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলে, ৬ রেটিং হারাবে বাংলাদেশ। তখন ৮৫ রেটিং নিয়ে সপ্তমস্থানেই থাকবে তারা। এতে ৯ রেটিং বাড়বে আফগানদের। তবে দশমস্থানেই থাকতে হবে তাদের। এদিকে ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশের সামনে শীর্ষে ওঠার হাতছানি দেখা দিয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১৬ রান। অথচ নিজেদের ইনিংসের শুরুতে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। 
 
দলের রান ৫০ পেরুনোর আগেই নেই ৬ উইকেট। এরপর সপ্তম উইকেটে ১৭৪ রানের জুটি বেঁধে আফিফ ও মিরাজ অতি সহজেই দলকে নিয়ে যান জয়ের ঠিকানায়। এই জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে আরও ১০ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের আর একটি ম্যাচ জিতলেই ইংল্যান্ডকে টপকে আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠে আসবে বাংলাদেশ। আগামী বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে ওয়ানডে সুপার লিগ। বর্তমানে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ আছে দ্বিতীয় স্থানে। আপাতত আফগানিস্তানকে সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে হারিয়ে ব্রিটিশদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন তামিম-সাকিবরা। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড দুই দলই সমান ৯টি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের আছে বাড়তি ৫ পয়েন্ট। ১৫ ম্যাচ খেলা ইংল্যান্ডকে নিজেদের চতুর্দশ ম্যাচেই টপকে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। 
 
চলতি সিরিজে আর একটি ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ উঠে যাবে শীর্ষে, ইংল্যান্ড নেমে যাবে দ্বিতীয় স্থানে। এদিকে, ১২ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট রয়েছে ভারতের খাতায়। টিম ইন্ডিয়া রয়েছে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে। আয়ারল্যান্ড (১৮ ম্যাচে ৬৮) ও শ্রীলঙ্কা (১৮ ম্যাচে ৬২) রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পারলে একযোগে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে টপকে চার নম্বরে উঠে যেত আফগানিস্তান। কিন্তু তারা সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে বসায় ৬ নম্বরেই থেকে যায়। আফগানদের সংগ্রহে রয়েছে আপাতত ৭ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়া ৯ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সাত নম্বরে অবস্থান করছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে। পাকিস্তান ৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নয় নম্বরে অবস্থান করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা (১০ ম্যাচে ৩৯), জিম্বাবুয়ে (১২ ম্যাচে ৩৫) ও নিউজিল্যান্ড (৩ ম্যাচে ৩০) যথাক্রমে ১০, ১১, ১২ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। একেবারে শেষে ১৩ নম্বরে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট। এদিকে এক ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে ৪৭ বছরে ‘প্রথম’ অনেক অর্জন করেছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শীষ্যরা। বিপর্যয়ের পর এক অভূতপূর্ব প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে বাংলাদেশকে অসাধারণ জয় এনে দেন দুই তরুণ ব্যাটার আফিফ ও মিরাজ। ওয়ানডে ক্রিকেটে দীর্ঘ ৪৭ বছরে দেখা যায়নি এমন প্রত্যাবর্তন। রানতাড়ায় ৪৫ বা কম রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর পরও জয়- এমন ম্যাচে এর আগে সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল ৫৫ রানের। 
 
 
সর্বশেষ এই ঘটনাটি ঘটেছে ১৯৭৫ সালের। বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৩ রান তাড়ায় ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল গ্যারি গিলমোর ও ডগ ওয়াল্টার্সের ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে। মিরাজ-আফিফের জুটি ছাড়িয়ে গেল সেটিকেও। অপরাজিত ১৭৪ রান তাড়ায় বা দ্বিতীয় ইনিংসে সপ্তম উইকেটে বিশ্ব রেকর্ড জুটি এখন আফিফ-মিরাজের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত পরশু তারা গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটি। রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও ক্রিস ওকসের। ২০১৬ সালে নটিংহ্যামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওকস-বাটলার করেছিলেন ১৩৮ রান। ওয়ানডেতে যে কোনো ইনিংসে সপ্তম উইকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ জুটিটি বাটলার ও আদিল রশিদের, ২০১৫ সালে এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ০ এর আগে কখনোই রান তাড়ায় এতো কম রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশ ষষ্ঠ উইকেট হারায় মাত্র ৪৫ রানে। 
 
এর আগে সবচেয়ে কম রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের জেতার রেকর্ডটি ছিল ২০০৬ সালের। কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে ১৮৪ রান তাড়ায় ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশ জিতেছিল নবম উইকেটে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আব্দুর রাজ্জাকের ৫০ বলে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে। মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ৪৩ রানে, রাজ্জাক ২৩ বলে করেছিলেন অপরাজিত ১৪ রান। সে ম্যাচে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ, প্রথম ম্যাচে হারায় ২৮ রানেই। এটিও রেকর্ড। ১২৭ রান তাড়া করে জেতা ম্যাচে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সপ্তম উইকেটের জুটি ছিল ৪৯ রানের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪৯ রানের লক্ষ্যে ১৮৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর মাহমুদুউল্লাহ ও নাঈম ইসলামের ওই জুটিতে কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের, শেষ পর্যন্ত সে ম্যাচটি তারা জিতেছিল ৩ উইকেটে। রানতাড়ায় যে কোনো ম্যাচে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৮৫ রানের। ২০০২ সালে চট্টগ্রামে সে জুটি গড়েছিলেন এনামুল হক মনি ও খালেদ মাসুদ পাইলট। ২০৩ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অবশ্য সেবার থেমেছিল ১৫৩ রানেই। সপ্তম উইকেটে যে কোনো ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের (১২৭)।
 
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সে জুটি গড়েছিলেন ইমরুল-সাইফউদ্দিন, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৭১ রান তুলে জিতেছিল ২৮ রানে। ৯৩*, ৮১* সাত বা এর নিচে নেমে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংসটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ৭৩ বলে করেছিলেন অপরাজিত ৭৫ রান। সেই কীর্তি ছাড়িয়ে গেলেন আফিফ ও মিরাজ। আফিফ ৯২ ও মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজ জিতে আগেভাগে উল্লাস করতে চায় তামিম ইকবালের দল।
 
এক ম্যাচে অনেক রেকর্ড বাংলাদেশের 
মেহেদি হাসান মিরাজ-আফিফ হোসেন ধ্রুব’র বীরত্বে ভাঙল ক্রিকেটে অনেক রেকর্ড। খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন এই দুজন। অধিনায়ক তামিম ইকবালের চোখে তাদের দুজনের ইনিংসটা স্রেফ অবিশ্বাস্য। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওলটপালট হয়েছে রেকর্ডবুক। এক নজরে সেগুলো দেখে নেয়া যাক।
 
সপ্তম উইকেটে একটুর জন্য বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি আফিফ ও মিরাজের। ১৭৪ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ওয়ানডে ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে এর চেয়ে বড় রানের জুটি আছে আর মাত্র একটি। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রানের জুটি গড়েছিলেন সপ্তম উইকেটে।
বিশ্বরেকর্ড গড়া না হলেও সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি হয়েছে। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ১২৭ রানের জুটি গড়েছিলেন।
রান তাড়া করতে নেমে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের এই দুই নায়ক। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও ক্রিস ওকস ১৩৮ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আফিফ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। মিরাজ ৮১ রানে ইনিংস খেলে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তাকে এগিয়ে নিয়েছে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বল হাতে ১০ ওভারে ৩ মেডেনে ২৮ রান দিয়েছেন ডানহাতি অফস্পিনার। তার ৮১ রানের ইনিংসও অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে নাঈম ইসলাম ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৩ রান করেছিলেন।
তবে তার এই ৮১ রান সফল রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ড বটে। জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিক ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। 
রান তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ ১৭৪ রান তুলে জয়ের রেকর্ড হলো বাংলাদেশের। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর ও ডগ ওয়ালটার্স ৫৫ রান করে দলকে জেতাতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
* ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর আফিফ ও মিরাজের ১৭৪ রানের জুটি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ বিশ্বরেকর্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সংযুক্ত আবর আমিরাতের আমজাদ জাভেদ ও নাসির আজিজ ১০৭ রান করেছিলেন।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।