দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আর এই জয়ের ফলে আইসিসি’র ওয়ানডে সুপার লিগের র্শীষস্থানে উঠে এসেছে টাইগাররা।১৪ ম্যাচে ১০ জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ১০০। ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে ইংল্যান্ড। আগামী বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে ওয়ানডে সুপার লিগ। এর আগে বুধবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ৩০৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২১৮ রানে অলআউট হয় আফগানরা। এতে ৮৮ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় তামিম ইকবালদের। এটি একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৭ নম্বর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই আফগানদের চাপে ফেলে দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ৩৪ রানে তুলে নেয় ৩ উইকেট। এরপর রহমত-নাজিবুল্লাহর ৮৯ রানের জুটি আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছিল আফগান শিবিরের। কিন্তু ২৫তম ওভারে রহমতকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। তাসকিনের বলে বোল্ড হওয়া রহমত করেছেন ৫২ রান। জুটি ভাঙার পর সঙ্গী নাজিবুল্লাহও বেশি দূর যেতে পারেননি। তাসকিনের ২৯তম ওভারে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ৫৪ রানে ফিরতে হয়েছে নাজিবুল্লাহকে। এরপর মোহাম্মদ নবী ৩২, রশিদ খান ২৯ রান করলেও আর কোনো আফগান ব্যাটসম্যান ক্রিজে থিতু হতে পারেনি। ২৯ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় দলটি। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও সাকিব দুটি করে এবং মুস্তাফিজ, শরিফুল, মিরাজ, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। শুরুতে ৩৮ বলে ৩৮ রানের গড়েন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। আগের ম্যাচের মতোই ফজল হক ফারুকির বলে আউট হওয়া তামিম করেন ১২ রান। তামিমের মতো সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। রশিদ খানের বলে ফেরেন ৩৬ বলে ২০ রান করে। এরপরের গল্পটা লিটন আর মুশফিকের। ৮৩ রানে শুরু করা তাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থামে ২৮৫ রানে। ২০২ রানের এই জুটি তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ। ১৮৬ বলের জুটিতে নান্দনিক সব শটে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে যখন থামেন, তখন নামের পাশে ১৩৬ রান। ১২৬ বলের ইনিংসে ১৬টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকান ২টি। লিটনের আউটের পরের বলেই ফরিদকে আপার কাট করতে গিয়ে ৮৬ রানে আউট হন মুশফিক। ৯৩ বলের ইনিংসটি সাজান ৯টি চারের লিটন-মুশফিক আউট হলে শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ চার ওভারে বাউন্ডারি আসে কেবল একটি। ৯ বল খেলে মাহমুদউল্লাহ করতে পারেন কেবল ৬ রান, ১২ বলে ১৩ রানে অপরাজিত আফিফ। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের পক্ষে ফরিদ আহমেদ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
দেশকন্ঠ/অআ