• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৮

মহিষ হলো প্রথম ঘোড়া দ্বিতীয়

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর গ্রামে পদ্মার চরে অনুষ্ঠিত হলো শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া ও মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতা। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে উপজেলার দয়রামপুর যুব সংঘের উদ্যোগে পদ্মার চর বালুর মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠের চারপাশে বসে হাজার হাজার দর্শক আকর্ষণীয় এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। রুহুল উদ্দীন স্বাধীনের ধারা বর্ণনায় প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ইকবাল সর্দার। প্রতিযোগিতার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শিলাইদহ রবীন্দ্র কলেজের অধ্যাপক ফারুক আযম হান্নান। প্রতিযোগিতায় ঘোড়া গাড়ির ৪ জন ও মহিষের গাড়ির ৪ জন অংশগ্রহণ করেন। এতে দয়রামপুরের সাহেব সর্দার মহিষের গাড়ি নিয়ে প্রথম ও একই গ্রামের আকাশ ইসলাম ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
 
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীকে সোফাসেট ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে পাওয়ার ফ্যান পুরস্কার দেওয়া হয়। খাঁন ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ডিজিটাল ফার্নিচারের সৌজন্যে প্রতিযোগীদের মাঝে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিযোগীকে সান্ত্বনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ব্যতিক্রমধর্মী এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে আসা দয়রামপুর এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘোড়া ও মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতা খুবই কম হয়। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের এলাকায় এ বছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন করার দাবি জানান তিনি।
 
পাশের গ্রাম মির্জাপুর থেকে প্রতিযোগিতা দেখতে আশা গোলাপী আক্তার বলেন, ঘোড়া ও মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতা আমি শুধু বইতে পড়েছি আর মুরুব্বিদের মুখে শুনেছি। কিন্তু এই প্রথমবার আমি এই প্রতিযোগিতা দেখলাম, খুব ভালো লাগছে। ঘোড়া ও মহিষ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ২০ বছর যাবত ঘোড়া গাড়িতে মালামাল পরিবহন করি। এই ঘোড়া থেকে আমার রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। প্রতি বছর যদি এই ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমরা যারা গাড়িয়াল আছি তারা এই পেশায় আরো অনুপ্রাণিত হবো। অপর প্রতিযোগী সোহেল বলেন, ঘোড়া ও মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আয়োজকদের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক টাকা খরচ হয়। তারপরও আমার দাবি এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী খেলা যাতে বার বার আয়োজন করা হয়। তাহলে আমাদের ঘোড়া লালন পালন ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহের সৃষ্টি হবে। আয়োজকদের একজন ইকবাল সরদার জানান, এখন থেকে প্রতি বছর এই ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।