দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ক্রীড়া সাংবাদিক, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রুমেল খানের ছোট ভাই আজহারুল ইসলাম পাঠান হিমেল (৪৩) গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজেউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা-বাবা, এক বোন, এক ভাই, তিন ভাগ্নে, আত্মীয়-স্বজন এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমকে ২৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার পুরান বাউশিয়ায় নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে, তারপর বাদ জোহর ঢাকার উত্তর মুগদাপাড়া মধ্য জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মুগদাপাড়া-কমলাপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফনের আগে ওই কবরস্থানেই তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত হিমেল ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ছাত্রজীবনে তিনি বেশ ভাল ক্রীড়াবিদ ছিলেন। বিশেষ করে ফুটবলে (গোলরক্ষক) এবং ক্রিকেট (ডানহাতি ফাস্ট বোলার)। অনেক সাফল্য ও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি খেলাধুলায়। পড়াশোনা করেছেন নরসিংদীর ঘোড়াশালের পলাশের বিউবো উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ঢাকার তেজগাঁয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কয়েক বছর একটি চীনা কোম্পানিতে চাকরি করলেও পরে নিজ ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন। তার বাবা নুরুল ইসলাম পাঠান ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তার মা বিলকিস কোহিনূর শেফালি একজন গৃহিণী এবং বড় বোন দিলরুবা কোহিনূর সুইটি ঢাকার মুগদাপাড়ার লিটিল এ্যাঞ্জেলস হোমে শিক্ষকতা করেন।
ক্রীড়া সাংবাদিক রুমেল খান জানিয়েছেন, গান শোনা, বেড়ানো এবং বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ছিল তার শখ। ভাল গিটার বাজাতেন এবং গান গাইতে পারতেন। ছিলেন আর্জেন্টিনা, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, সালমান শাহ এবং ওয়ারফেইজ-এর অন্ধভক্ত। ছিলেন মিশুক, বন্ধুবৎসল, সহযোহিতাপরায়ণ। কারো কোন বিপদ, অসুস্থতা ও সমস্যা দেখলেই তিনি ছুটে যেতেন। জীবনে তিনি ৪৭ জনকে রক্ত দান করেছেন। এজন্য বন্ধুমহলে ও সবার কাছে ছিলেন বিপুলভাবে জনপ্রিয়। হিমেলের অকালপ্রয়াণে তাই পরিবার-পরিজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
দেশকণ্ঠ/আসো