• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৯

৪ রানে হারল বাংলাদেশের মেয়েরা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ৪ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ওভারের তিন বল হাতে রেখে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল। ১৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলে শামীমা সুলতানা ডাক মারলেন। হ্যালি ম্যাথিউসের শিকার হন তিনি। শারমীন আক্তার উইন্ডিজ এই বোলারের কাছে আউট হন ১৭ রানে। ৩০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর গত দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তাদের জুটি ৩০ রানের বেশি হয়নি। দারুণ এক চার মারার পর অ্যাফি ফ্লেচারের বলে স্লগসুইপ করতে যান ফারজানা, কিন্তু বল মিস করেন তিনি। অফস্টাম্পে লাগে আঘাত। ৬৫ বলে ২৩ রানে আউট গত দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা ফারজানা।
 
এই ফ্লেচার তার পরের ওভারে টানা দুটি উইকেট নেন। রুমানা আহমেদকে কট বিহাইন্ড ও রিতু মনিকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। সালমা খাতুনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ছিলেন নিগার। ২৫ রান করে তিনি ম্যাথিউসের শিকার। ‍দুই বল পর ফাহিমা খাতুনও ডাক মারেন। ৮৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়ে রাখেন সাবেক অধিনায়ক সালমা, সঙ্গে ছিলেন নাহিদা আক্তার। জয় থেকে ৩১ রান দূরে থাকতে আউট হন সালমা। কারিশমা রামহারাককে ক্যাচ দেন তিনি স্টেফানি টেলরের বলে। ২৩ রান করেন সালমা। ক্রিজে নেমে জাহানারা আলম এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন টেলরের বলে। তার এক্সট্রা বাউন্সের বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ হন তিনি ৮ রান করে। ফারিহা তৃষ্ণাকে নিয়ে নাহিদা আক্তার শেষ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যান তারা। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ৮ রান। টেলরের প্রথম বলে নাহিদা ডাবল নেন, দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃষ্ণা তৃতীয় বলে হন বোল্ড। ৪৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। 
 
আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশের দরকার ১৪১ রান। এই ম্যাচ জিতলে বিশ্বকাপে টানা দুই জয় পাবে বাংলাদেশ, আর উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম। এর আগে ১৪ মার্চ পাকিস্তানকে ৯ রানে হারিয়েছিল নিগার সুলতানার দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করে উইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন উইকেটকিপার ব্যাটার শেমেইন ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার। এছাড়া জাহানারা আলম, রোমানা আহমেদ ও রিতু মনি একটি করে উইকেট লাভ করেন।
 
১০০ পার করলো উইন্ডিজ
 
১০০ পার হলো উইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের স্কোর। শেষ ৪০ রান তুলতে বাংলাদেশকে তারা উইকেট দিয়েছে একটি। দলীয় ১০২ রানে অ্যাফি ফ্লেচার’কে (১৭) ফাহমিদা খাতুনের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান রিতু মনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উইন্ডিজের রান ৪৫ ওভারে ১১০। হাতে আছে দুই উইকেট।
 
ধুঁকছে উইন্ডিজ, ৭০ রানে নেই ৭ উইকেট
 
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করছে উইন্ডিজ। বাংলাদেশের বোলিং বিষে জর্জর হয়ে সাজঘরে ফিরছেন উইন্ডিজের একের পর এক ব্যাটসম্যান। দলীয় ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ক্যারিবিয়ানরা। ৪৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন উইন্ডিজ ব্যাটাররা। কিন্তু দলীয় ৬০ রানে চেডিয়ান নেশনকে (৬) রান আউটের ফাঁদে ফেলেন ফারজানা হক। এর ঠিক ২ রান পরেই রোমানার বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হন আলিয়া অ্যালেইন (০)। আর ৭০ রানে চিনেল হেনরিকে (১) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন সালমা খাতুন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উইন্ডিজের রান ৩৫.৩ ওভারে ৭০। হাতে আছে তিন উইকেট।
 
উইন্ডিজ শিবিরে একের পর এক আঘাত
 
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে যাচ্ছেন বোলাররা। স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছে উইন্ডিজ। খেলার ৯ নম্বর ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজ ওপেনার ডিয়েন্দ্রা ডটিনকে শামীমা সুলতানার ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরের পথ দেখান জাহানারা আলম। এরপর ১৩তম ওভারে হেইলি ম্যাথুসকে ব্যক্তিগত ১৮ রানে আউট করেন নাহিদা আক্তার। দলের রান যখন ৪৮, তখন পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বসে উইন্ডিজ। অধিনায়ক স্ট্যাফানি টেলরকে বোল্ড করে প্রথম আঘাতটি করেন নাহিদা আক্তার। এর পরের ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান রাশাদা উইলিয়ামস। তাকে আউট করেন সালমা খাতুন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উইন্ডিজের রান ২০ ওভার শেষে ৫২ । হাতে আছে ৬ উইকেট।
 
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নারী ক্রিকেট দল
 
আইসিসি নারী ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৭তম ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা টস জিতে উইন্ডিজ অধিনায়ক স্ট্যাফানি টেলরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।  বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের জন্য পুরোপুরি অচেনা দল উইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে একদিনের কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ নারী দল। 
 
বাংলাদেশ দল: শামীমা সুলতানা (উইকেটকিপার), শারমিন আক্তার, ফারজানা হক, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, সালমা খাতুন, নাহিদা আক্তার, জাহানারা আলম, ফারিহা ত্রিশা।
 
উইন্ডিজ দল: ডিয়েন্দ্রা ডটিন, হেইলি ম্যাথুস, রাশাদা উইলিয়ামস, স্ট্যাফানি টেলর (অধিনায়ক), শেমেইন ক্যাম্পবেল (উইকেটকিপার), চেডিয়ান নেশন, চিনেল হেনরি, আলিয়া অ্যালেইন, অ্যাফি ফ্লেচার, কারিশমা রামহারক, শামিলিয়া কনেল।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।