যৌন নিগ্রহের শিকার হলেও শিশুদের পক্ষে তা বলে ওঠা সহজ নয়, কিন্তু মানসিক ও শারীরিকভাবে পরিণাম হয় মারাত্মক।
দেশকণ্ঠ ডেস্ক : শিশুরা সব কথা বলে বোঝাতে পারে না। বিকৃত যৌন লালসার শিকার হলে মানসিক ভাবে স্থির থেকে সব কিছু বুঝিয়ে বলা এমনিতেই কঠিন। পাশাপাশি শিশুদের পক্ষে বিষয়টি বুঝে ওঠাও সহজ নয়। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌন হিংসার শিকার হলেও শিশুদের পক্ষে তা বলে ওঠা সম্ভব হয় না। কিন্তু মানসিক ও শারীরিক ভাবে এর পরিণাম হতে পারে মারাত্মক। তাই শিশুদের মনের কথা বুঝতে অভিভাবকদের ভূমিকা হয়ে ওঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক নিগ্রহ ছাড়াও শিশুদের সামনে যৌনাঙ্গের উন্মোচন, শিশুদের অশ্লীল ছবি চালাচালি করা থেকে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচার-আচরণ করা, সবই যৌন নিগ্রহ।
১. শিশুদের পক্ষে নিগ্রহ বুঝে ওঠা সহজ নয়। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলে চলবে না। যদি মনে হয় শিশুর কো-থাও অসুবিধা হচ্ছে বা কী সমস্যা হচ্ছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তা হলে হতে হবে সতর্ক।
২. যদি কোনও যৌন রোগের লক্ষণ দেখা যায় শিশুর শরীরে, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। যৌন নিগ্রহের শিকার হলে শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যৌন রোগ ছাড়াও শরীরে কালশিটে, কেটে-ছড়ে যাওয়া, অযাচিত নখের আঁচড় কিংবা জামাকাপড় বা বিছানার চাদরে রক্তের দাগ যৌন নিগ্রহের লক্ষণ।
৩. যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হলে মানসিক ভাবেও তীব্র ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শিশুদের উপর। সন্তানের আচমকা চুপচাপ হয়ে যাওয়া, বাবা-মাকে ছাড়া কোথাও থাকতে না চাওয়া। বাড়িতে একা একা দীর্ঘ ক্ষণ শুয়েবসে থাকা, কিছু বিশেষ আত্মীয় পরিজনদের কাছে না যেতে চাওয়া একেবারেই ভাল লক্ষণ নয়।
৪. অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যৌন নিগ্রহের শিকার হলে শিশুরা ঘুমের মধ্যে বিছানাতেই প্রস্রাব করে ফেলে। হঠাৎ বুড়ো আঙুল চোষা, দাঁত দিয়ে নখ কাটার মতো লক্ষণও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে।
৫. চঞ্চল সন্তান যদি হঠাৎ শান্ত ও নিস্তেজ হয়ে যায়, কথা শুনতে শুরু করে, তা হলেও সতর্ক হতে হবে তৎক্ষণাৎ। যদি খুদেরা হঠাৎ মা-বাবার সামনে পোশাক বদলাতে কিংবা স্নান করতে সঙ্কোচ বোধ করে, তা হলেও সতর্ক হতে হবে অভিভাবকদের। মনে রাখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের যৌন নিগ্রহের পিছনে হাত থাকে পরিচিত কোনও মানুষেরই। কাজেই মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন শিশুদের কথা। শৈশবের ভ্রান্তি বলে এড়িয়ে গেলে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ।
দেশকণ্ঠ/আসো # সূত্র : আন্দবাজার পত্রিকা