• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৯

বাংলাদেশকে সহজেই হারালো প্রোটিয়ারা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ওয়ান্ডারার্সে অচেনা এক বাংলাদেশেরই দেখা মিলেছে। প্রথম ওয়ানডে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়তে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল না তার ছিটেফোঁটাও! বরং ক্যান্সার সচেতনতার স্মারক হিসেবে ‘পিংক ওয়ানডে’র অতীত ঐতিহ্যই ধরে রাখলো স্বাগতিক দল। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে তৃতীয় ওয়ানডেটি হয়ে রইলো সিরিজ নির্ধারণী। ৩ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৩৭.২ ওভারেই। পিংক ওয়ানডেতে কখনোই হারের নজির নেই স্বাগতিকদের। তার ওপর ১৯৫ রানের লক্ষ্যটা ছিল মামুলী। দুই ওপেনার জানেমান মালান ও ডি কক শুরুটা করেছিলেন দেখেশুনে। এক পর্যায়ে কুইন্টন ডি কক-ই ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়েছেন। ঝড় তুলে ২৬ বলে তুলে নেন ফিফটিও। মিরাজ দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা এই ওপেনিং জুটি ভাঙলেও ততক্ষণে নির্ধারণ হয়ে গেছে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি। ১৩তম ওভারে তার বলে সুইপ করতে গিয়ে ২৬ রানে বোল্ড হয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটার। মিরাজের ১১তম ওভারের শেষ বলে ডি ককেরও ক্যাচ উঠেছিল। মুশফিকুর রহিম গ্লাভসে জমাতে পারেননি তার ক্যাচ। একই ওভারে নষ্ট হয়েছে দ্বিতীয় রিভিউ। পরে অবশ্য ১৬তম ওভারে আর শেষ রক্ষা হয়নি প্রোটিয়া ওপেনারের। সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। অবশ্য বাউন্ডারি লাইনে আফিফের অসাধারণ ফিল্ডিংয়েই ক্যাচ আউট হয়েছেন ডি কক। ফেরার আগে ৪১ বলে করেছেন ৬২ রান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছয়। এই সময়ে আর প্রোটিয়াদের চেপে ধরার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং এর পর ম্যাচটা নিজেদের হাতের মুঠোয় নিতে অবদান রাখেন তেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরিয়েনে। ৮২ রান যোগ করেন তারা। জয়ের কাছে থাকার মতো অবস্থায় বাভুমাকে ৩৭ রানে তালুবন্দি করিয়েছেন আফিফ। তাতেও ম্যাচ পরিস্থিতির কোনও হেরফের হয়নি। কাইল ভেরিয়েনে ও রাসি ভ্যান ডের ডুসেন মিলেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছেন। ৩৭.২ ওভারে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন ডুসেন। 
 
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মিরাজ, সাকিব ও আফিফ। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেস ঝড়ে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে টপ অর্ডার। পরে মিডল অর্ডারে আলো ছড়িয়ে আফিফ হোসেন লড়ে গেছেন। ওয়ান্ডারার্সে তার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় নামেন আফিফ- মাহমুদউল্লাহ। চমৎকার ব্যাটিংয়ে চাপ কাটিয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ জুটিটা আর টেনে নিতে পারলেন না। তাবরেজ শামসির ঘূর্ণিতে লেগ স্লিপে ধরা পড়েন জানেমান মালানের হাতে। তার বিদায়ে শেষ হয় আফিফের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি। পরে আফিফ-মিরাজই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের শাসন করে দলকে একটা অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আফিফ তো সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। পরে ৭২ রানে আউট ‍হয়ে গেছেন তিনি। তার বিদায়ের পরপর বিদায় নেন সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজও। এই ব্যাটারও আলো ছড়িয়েছেন। খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস। আফিফ-মিরাজ সপ্তম উইকেটে গড়েন রেকর্ড ৮৬ রানের জুটি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ। আফিফ দারুণ সব শটে ও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। তার ৭২ রানের ইনিংসটি ছিল ১০৯ বলে সাজানো। ছিল ৯ বাউন্ডারি।দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার রাবাদা। এই ডানহাতি পেসার ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ৫ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিদি, ওয়েইন পারনেল, তাবরেজ শামসি ও রাসি ফন ডের ডুসেন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।