• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪১

ভারতে ছন্দহীন বাংলাদেশ

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে চরমভাবে হতাশ করেছে নারী ক্রিকেট দল। ১১০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। উইকেটটা এমনিতেই স্লো ছিল। ভারতের বোলাররা ছিলেন শক্তিশালী। ফলে রান তুলতে তাই বাংলাদেশকে করতে হয়েছে বেশ কষ্ট। মাঝে ব্যতিক্রম হয়ে থেকেছেন সালমা খাতুন; একার লড়াইয়ে আর কতটুকু যাওয়া যায়! হ্যামিল্টনে ভারতের বাংলাদেশের সামনে ২৩০ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। 
 
ভারতকে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে কেবল ১২ রান! এই চাপের মধ্যে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন শারমিন আক্তার। গায়কোয়াডের অফ স্টাম্পের বাইরের বল প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা স্নেহা রানার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তিন নম্বরে খেলতে নামা ফারজানা হককেও বেশ কিছুক্ষণ ভুগতে হয়। ১১ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি তিনি। পূজা বস্ত্রাকারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ফারজানা। অধিনায়ক নিগার সুলতানাও ১১ বলে ৩ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান। এর মাঝে এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ছক্কা হাঁকান মুর্শিদা খাতুন। এই ওপেনার ৫৪ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের পক্ষে এরপর হাল ধরেন সালমা খাতুন ও লতা মন্ডল। দুজন মিলে ৪০ রানের জুটি গড়েন। ৪ চারে ৩৫ বলে ৩২ রান করে সালমা আউট হলে এই জুটি ভেঙে যায়। ৪৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন লতা। 
 
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন ভারতের দুই ওপেনার। মারমুখী শেফালি ভার্মা জাহানারা আলমের এক ওভারেই হাঁকান তিন চার। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন ধীরে ধীরে ফসকে যাচ্ছে তখনই বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান নাহিদা আক্তার। তার শট বল পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন স্মৃতি মান্দানা। ৩ চারে ৫১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। পরের ওভারের তৃতীয় বলেই ভয়ঙ্কর হতে থাকা শেফালিকে ফেরান রিতু মণি। এগিয়ে এসে তার বল খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ৪২ বলে ৪২ রান করেন শেফালি। এরপর মিতালি রাজকে একেবারেই শূন্য রানেই সাজঘরের পথ দেখান রিতু। ইয়াশকিতা ভাটিয়ার সঙ্গে এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছিলেন হারমানপ্রিত কার। কিন্তু তাকে দুর্দান্তভাবে রান আউট করেন ফারজানা হক। ৩৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। তার সঙ্গী ভাটিয়া অবশ্য তুলে নেন ফিফটি। 
 
৮০ বলে ৫০ রান করা এই ব্যাটারকেও ফেরান রিতু। নাহিদা আক্তারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মাঝে ঝিমিয়ে পড়া ভারতের ইনিংসকে শেষদিকে আবারও জাগিয়ে তুলেন পূজা বস্ত্রাকার ও স্নেহা রানা। ২৩ বলে ২৭ রান করে শেষ ওভারে জাহানারা আলমের বলে স্নেহা সাজঘরে ফেরত গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন পূজা। ২ চারে ৩৩ বলে ৩০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন পূজা। এছাড়া নাহিদা ২ ও জাহানারা নেন একটি উইকেট। 
দেশকন্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।