• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৭

আত্মত্যাগে সাকিবের অনন্য দৃষ্টান্ত

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : একজন মানুষের কাছে তার পরিবার অনেক বড়। পরিবারের মানুষের জন্য অনেকেই বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকার করে থাকেন। খেলোয়াড়রাও রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। তাদেরকে দিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের আশা পূরণ করে থাকেন। সেখানে নিজেকে সবসময়ই আলাদা করে রেখেছেন সাকিব আল হাসান। মাঠের ও মাঠের বাইরে বিতর্কের পাশাপাশি ব্যাট-বল সমানতালে কথা বলে। সেই তিনিই এবার আত্মত্যাগে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। 
 
অন্য রকম একটা টেনশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন এই বাহাতি অলরাউন্ডার। পরিবারের কয়েকজন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমতাবস্থায় সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে আসবেন কি না, এমন কথা উঠেছিল। পরিবারের অসুস্থতায় একবার ঠিক হয়েছিল গত পরশু রাতেই তিনি দেশে ফিরবেন। পরে সাকিব নিজেই সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত দেশে ফিরবেন না- দলের সাথেই থাকবেন তিনি। দুঃসংবাদটা তিনি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেই। আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তার মা। এরপর জানতে পারেন, তার সন্তানেরাও অসুস্থ। এ অবস্থায় সফরের বাকি অংশে স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল। 
 
এদিকে সব দুশ্চিন্তা কাটিয়ে দলের সাথে থাকার কথা জানিয়েছেন সাকিব। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, ‘সে খেলার ব্যাপারে মুখিয়ে আছে। প্রথম ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলো, দ্বিতীয় ম্যাচে রান পায়নি; কিন্তু বোলিংটা ভালো করেছে। সে খেলতে চায় এবং সিরিজটা জিততে চায়। ওকে ছাড়া টিম কম্বিনেশন বানানো যে কতটা কঠিন, সেটি সে জানে। সাকিব দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করছে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও দুর্দান্ত একটা ব্যাপার। আমরাও আশা করি সাকিবের পরিবারের সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে। সবাই সুস্থ থাকবে।’ গত সোমবার রাত থেকেই সাকিব দেশে ফেরার আলোচনা শুরু হয়। যেহেতু মা ও সন্তানেরা অসুস্থ, তাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সাকিবকে শেষ ওয়ানডে খেলেই দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় টিকিট কাটা ছিল বিধায় সিদ্ধান্ত হয় সাকিবকে দেশে পাঠানো হবে। অবশ্য সাকিব শেষ ওয়ানডেটি খেলতে চান বলে আপাতত দলের সাথেই থাকছেন। 
 
এ বিষয়ে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘সাকিবের একটা মেডিকেল ইমারজেন্সি ছিল। সে কারণেই ওর মনে একটা দ্বিধা তো ছিলই। ঢাকাতেও পরিবারের সাথে আসা-যাওয়া নিয়ে কথা বলেছিল। টিকিট বুক করতে হয়েছিল ওর জন্য। কিন্তু সাকিব রাজি নয় যেতে, সে শেষ ওয়ানডে খেলেই যাবে।’ সাকিব প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘ও তার টিকিট বাতিল করেছে। তাই সে দেশে ফিরছে না। তৃতীয় ওয়ানডে খেলেই সে দেশে ফিরবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেশে ফিরে এলেও টেস্ট সিরিজের আগে আবারো দলের সাথে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ পরিবারের পাঁচ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একমাত্র ছেলে এবং মেজো মেয়েও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ভালো নেই বড় মেয়েও। মা ও শাশুড়ি দুজনই অসুস্থ। এমন অবস্থায় সাকিবের জন্য ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়া কঠিন কাজ বটে। তবু সেই কষ্টসাধ্য কাজটিই করছেন সাকিব! 
 
কয়েকদফা টিকিট বুকিং দিয়েও বাতিল করেছেন কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলবেন বলে। সাকিবের এমন ত্যাগে মুগ্ধ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিবের দেশে ফেরা কিংবা না ফেরা নির্ভর করছে মা-সন্তানদের স্বাস্থ্যের অগ্রগতির ওপর। দেশ থেকে কিছুটা ভালো খবর পাওয়ায় সাকিব থেকে গেছেন। তবুও এ সময়ে পরিবার ছেড়ে থাকাটা ভীষণ কষ্টের। 
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।