• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৪

ভারতকে আটকাতে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-এর প্রথম ১০ ওভারে ভারতের ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে উইকেটহীন ৫২, প্রথম উইকেট জুটির ৭৪ রানে রান পাহাড়ে চাপা পড়ার শঙ্কা ছিল। তবে বাঁ হাতি স্পিনার নাহিদাকে পুল করতে যেয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে স্মৃতি মান্ধনা স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিলে (৩০) বাংলাদেশ উজ্জীবিত হয়। পর পর ৩ উইকেট ফেলে দেয় বাংলাদেশের মেয়েরা ওই ৭৪ রানে। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের মেয়েদের। ওই আসরে ভারতকে দু'বার হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ৫০ ওভারের ম্যাচে ভারতকে হারানোর রেকর্ড নেই বাংলাদেশের মেয়েদের। ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে দিতে দুরূহ টার্গেটের মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলকে। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২১১ চেজ করে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশ নারী দলের। সেখানে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য টার্গেট বাংলাদেশের ২৩০। এই দুরূহ টার্গেট পাড়ি দিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। অফ স্পিনার স্নেহ রানার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে (৪/৩০) বাংলাদেশ হেরে গেছে ১১০ রানে। পেসার রিতু মনি  পর পর দুই ডেলিভারিতে শেফালি ভার্মা (৪২ বলে ৬ চার, ১ ছক্কায় ৪২) ও মিতালি রাজকে (০) ফিরিয়ে দেন। এই রিতু মনিই করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (১০-২-৩৭-৩)। শেষ পাওয়ার প্লে-তে তার শিকার ভারতের ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইয়াস্তিকা ভাটিয়া (৮০ বলে ৫০)। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
 
বাঁ হাতি স্পিনার নাহিদা স্মৃতি মান্ধনা (৩০) এবং রিকা ঘোষ (২৬) এর উইকেট পেলেও মিতব্যয়ী বোলিং করতে পারেননি (৯-০-৪২-২)। ৪৯তম ওভারে খরচা তার ১৩ রান। সালমা উইকেট না পেলেও ছিলেন মিতব্যয়ী ( ৮-০-২৩-০)। রোমানাও মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন (৮-১-২৭-০)। তবে শেষ ওভারে স্নেহ রানাকে শিকার করেও জাহানারার বোলিং ছিল খরুচে (৮-০-৫২-১)। শেষ পাওয়ার প্লে-তে মিতব্যয়ী বোলিং করতে পারেনি কেউ। এই ৬০ বলে ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ভারত ৬৪ রান। ২৩০ রান চেজ করে জিততে হলে বাংলাদেশকে নিজেদের রেকর্ড করতে হতো।  ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ব্যাকফুটে নেমেছে বাংলাদেশ (১৯/২)। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ নারী দলের স্কোর ছিল ৩৫/৫। সেখান থেকে ৬ষ্ঠ জুটির ৪০ রানে তিন অঙ্কের নাগাল পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩২ রান (৩৫ বলে) করেছেন সালমা খাতুন। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনটি বাউন্ডারি। ঝুলন গোস্বামীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। ৩৯ বছর বয়সী এই ঝুলনকে বিগ শটে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে প্রথম ছক্কা মেরেছেন মুরশিদা। পুনমের বলে কভারে ক্যাচ দিয়েছেন। এই পুনমই  সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন (৭-০-১৫-১)।  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন লতা মন্ডল। বস্ত্রাকারের বলে মিড উইকেটে দিয়েছেন ক্যাচ। ভারতের এটি ৬ষ্ঠ ম্যাচে তৃতীয় জয়। বাংলাদেশের ৫ম ম্যাচে চতুর্থ হার।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।