দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : এবারের মৌসুমে দুর্ভাগ্যটা ভালোভাবেই পেয়ে বসেছে লিওনেল মেসিকে। কখনো বারে, কখনো তার গোল বাতিল হচ্ছে অফসাইডে। অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে তো বাতিল হলো তার দুই গোল। যদিও নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপেদের কল্যাণে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইঁ। ঘরের মাঠের ম্যাচটিতে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি। লিগের দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক মার্শেইকে হারিয়ে নিজেদের লিগ ওয়ান জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে মাওরোসিও পচেত্তিনো শিষ্যরা। তারা এগিয়ে গেছে ১৫ পয়েন্টে, বাকি আর ছয় রাউন্ড।
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে মার্কো ভেরাত্তির লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে প্রথম স্পর্শে চিপ শটে জালে পাঠান নেইমার। সর্বশেষ তিন ম্যাচে এ নিয়ে নেইমারের পা থেকে গোল এসেছে ছয়টি। ১৮ মিনিটে গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোলে করতে পারেননি এমবাপে। এর কিছুক্ষণ পর মেসির নেওয়া ফ্রি কিক উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ৩১তম মিনিটে এসে ম্যাচে সমতায় ফেরে মার্শেই। কর্নার ঝাঁপিয়ে ক্লিয়ার করতে গিয়েও ঠিকভাবে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা। সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি কালেতা কার। দশ মিনিট পর বল জালে পাঠান লিওনেল মেসিও। নুনো মেন্দেসের কাছ থেকে পাওয়া বল আলতো টুকায় কোনা দিয়ে জালে জড়ান মেসি। কিন্তু পরে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। মেসিকে বল বাড়ানোর আগে আক্রমণের শুরুতে অফসাইডে ছিলেন মেন্দেস। নেইমারের শট ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করেন পিএসজি খেলোয়াড়রা, কিন্তু তখন রেফারির সাড়া মেলেনি। এরপর বল পেয়েই মেসি আবার জালে বল পাঠালেও অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় সেটি। পরে ভিএআর দেখে দেওয়া হয় পেনাল্টি। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে বল জালে জড়ান এমবাপে। দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে কোনো দলই স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করেনি। তবে মেসির পাসে একটি বল জালে জড়ান এমবাপে। কিন্তু সেটিও বাতিল হয়ে যায় অফসাইডে।
দেশকন্ঠ/অআ