দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ইসরায়েলি বাহিনীর কবল থেকে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের হেফাজত এবং পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্ত করে দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মোনাজাত করা হয়েছে। ২২ এপ্রিল পবিত্র রমজানের তৃতীয় জুমার নামাজ শেষে এ মোনাজাত করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে শান্তি দাও। বিশেষ করে, ইসরায়েলি বাহিনীর কবল থেকে ফিলিস্তিন ও বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করে দাও। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হেফাজত করো। পবিত্র রমজানে মসজিদে আকসায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জান্নাত দান করুন।’ তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, রমজানের উসিলায় আজকের এই পবিত্র জুমার দিনে আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন ও দেশবাসীকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আমাদের নামাজ, রোজা এবাদত বন্দেগি সবকিছু তোমার সন্তুষ্টির জন্য। তুমি আমাদের সবকিছু কবুল করুন।’
বাংলাদেশসহ বিশ্ব থেকে করোনা মহামারিসহ সব বালা- মুসিবত দূর করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব।এর আগে খতিব রুহল আমিন তৃতীয় জুমার নামাজ পূর্ব খুতবায় রমজানের শেষ দশক এবং লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান দেন। তিনি বলেন, ‘মাহে রমজানে শবে কদরের রাত ইসলামী শরিয়ত মতে ফজিলতের দিকে দিয়ে অনেক বড়। এ রাতেই ঐশী গ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়েছে। এই রাতকে মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে ঘোষণা করেছেন। এ রাতকে যে কাজে লাগাতে পারেনি আল্লাহর প্রিয় হাবিব (সা.) তাকে বড় হতভাগা বলেছেন।’ ‘উম্মতগণ চাইলে এ রাতকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেন। এ রাতের প্রত্যেকটি আমল আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয়। কেবল কয়েক শ্রেণির মানুষ ছাড়া বাকি সবার দোয়া কবুল হয়। মাত্র এক রাতের আমল দিয়ে নিজেকে জান্নাতি বানানোর সুযোগ করে দিয়েছে শবে কদর।’ খতিব বলেন, শবে কদরে চার শ্রেণির মানুষকে ক্ষমা করা হবে না। তাদের কোনো কিছুই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না, যতক্ষণ না তারা এসব অপকর্ম থেকে সংশোধন হবে। এই চার শ্রেণির মানুষ হলো এক. মদ পানে অভ্যস্ত ব্যক্তি, দুই. মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, তিন. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী এবং চার. হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ও সম্পর্ক ছিন্নকারী। রমজানের তৃতীয় জুমায় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লির ঢল নামে। বায়তুল মোকাররমের সাত তলা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অনেকে ভেতরে জায়গা না পেয়ে বাইরে নামাজ আদায় করেন।
দেশকন্ঠ/অআ