• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৬

আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না বিসিবি সভাপতি

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সাদাপোশাকে বাংলাদেশ নড়বড়ে এটা জানা কথাই। হঠাৎ দেখা মেলে সাফল্যের। এ যেমন নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তাদেরই বধ করে অবাক করে দিয়েছিল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভরাডুবিতে বেরিয়ে পড়ে টেস্ট দলের কঙ্কালসার রূপ। এখন সেসব অতীত। ঈদের পরেই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১৫ মে থেকে। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ঢাকায় ২৩ মে’ থেকে। এই সিরিজের আগে মুমিনুল হকদের নিয়ে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
 
২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় টেস্ট দল নিয়ে তার কথায় এমনই আভাস পাওয়া গেল। ‘নির্বাচনের পরই বলেছিলাম আমাদের এখন টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে। করোনার জন্য দুই বছর পরিকল্পনা করতে পারিনি। আমাদের টেস্টে আলাদা একটা দল দরকার। বেশিরভাগ ম্যাচেই আমরা চতুর্থ দিনের পর, চতুর্থ ইনিংসে কলাপ্স করি। প্রথম ইনিংসে কিছুটা সাহস দেখি, চতুর্থ ইনিংসে হুট করে ভেঙে পড়ি। এটা কেন হয় তা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবার সাথে কথা বলে বের করতে হবে। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে লড়তে হয় ৫ দিন। সেশন বাই সেশন লড়াই করতে হয় বুক চেতিয়ে। দিতে হয় ধৈর্যের পরীক্ষা। টি-টোয়েন্টির এই জমজমাট সময়ে প্রতি বলে মেরে খেলার লোভ সামলে রাখতে হয়। মানসিকভাবেও থাকতে হয় দৃড়। বিসিবি সভাপতি মানসিকতা নিয়েও মন্তব্য করেছেন। এখানে কোনো মানসিক ব্যাপার থাকতে পারে। এক্ষেত্রে যা যা করণীয় দরকার তাও চেষ্টা করব। তবে সম্পূর্ণ আলাদা দল হওয়া ছাড়া এ মুহূর্তে কোনো সমাধান দেখছি না। এখন কিন্তু আগের চেয়ে অনেক খেলা। আগে টেস্ট খেলতাম বছরে এক-দুইটা। এখন তো প্রচুর খেলা। যারা টেস্ট খেলবে তাদের জন্য আলাদা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে’-এভাবেই বলেছেন বিসিবি সভাপতি।
 
বাংলাদেশকে বলা হতো স্পিনে শক্তিশালী। ঘরের মাঠে স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা হতো হার হামেশাই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেভাবে স্পিনের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তাতে দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন জাগে। দুই টেস্টের ৪০ উইকেটের মধ্যে ২৯ উইকেটই যে নিয়েছেন ২ স্পিনার কেশব মহারাজ ও সিমন হার্মার! তাই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিসিবি সভাপতি প্রত্যাশা করছেন স্পোর্টিং উইকেটের। তবে দলের উপর আস্থা না থাকলেও নাজমুল আশা হারাচ্ছেন না। তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশই সিরিজ জিতবে।  ‘কঠিন। তবে সম্ভব না এটা বিশ্বাস করি না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা জিতব। গত টেস্টে যে খেলা দেখেছি এটা দিয়ে বিচার করতে কষ্ট হচ্ছে। এখন হোম গ্রাউন্ড, আমরা এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথেও পারিনি। টেস্টে আমাদের দুর্বলতা অনেক, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।