• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪০

টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের ডেকেছেন নাজমুল

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউ জিল্যান্ডকে বধ করে সাদা পোশাকে রঙিন দিনের আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেশ বদলাতেই যেন মুদ্রার উলটো পিঠ দেখেছে মুমিনুল হকের দল। নিউ জিল্যান্ড বধের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদেরও হারানোর স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। এর কারণ জানতে টেস্ট ক্রিকেটারদের ডেকেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ডারবানে টেস্টের শেষ দিনে গিয়ে হারে বাংলাদেশ। চার দিন লড়াইয়ে থাকলেও শেষ দিন প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে যায় লাল সবুজের দল। ৫৩ রানে অলআউট হয়ে হারতে হয় ২২০ রানে। পোর্ট এলিজাবেথে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু শেষ টেস্টে সেই লড়াইটুকুই করতে পারেনি দল। দক্ষিণ আফ্রিকা ফলোঅনে ফেললে বাংলাদেশ হারত ইনিংস ব্যবধানেই। দুই ইনিংস মিলিয়ে মুমিনুলরা করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের রান। ফল ৩৩২ রানের বিশাল হার।
 
প্রশ্নবিদ্ধ এই পারফরম্যান্সের কারণ জানতে ২৩ এপ্রিল ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে ইফতারের আগে ক্রিকেটারদের ডেকেছিলেন নাজমুল। কিন্তু যানজটের কারণে যথাসময়ে ক্রিকেটাররা এসে পৌঁছাতে পারেননি। তবে বৈঠক এখানেই শেষ নয়। দুই একদিনের মাঝেই টেস্ট ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসবেন বোর্ড সভাপতি। ইফতার শেষে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আজ সাড়ে চারটার দিকে একটা মিটিং ডেকেছিলাম। সব খেলোয়াড়দের ডেকেছিলাম। আমার ইচ্ছে ছিল, টেস্ট দলের সঙ্গে একটু বসব আলাদা করে। অপ্রত্যাশিতভাবে যানজটের কারণে ওরা ছয়টায়ও এসে পৌঁছাতে পারেনি। সেজন্য আমরা এটা পিছিয়ে দিয়েছি, আশা করছি দুয়েক দিনের মধ্যেই ওদের সঙ্গে বসব। ওদের থেকেও একটু শোনা দরকার, ওরা কি মনে করছে। কি কারণে হঠাৎ করে এরকম একটা পারফরম্যান্স হলো।’ সামনেই আছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। মুমিনুল হকদের আলাদা করে ডাকার পেছনে এটিও একটি অন্যতম কারণ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন বোর্ড সভাপতি। তবে তাকে ভাবাচ্ছে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে স্পিনে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট বিলিয়ে দেওয়া নিয়ে। বিসিবি সভাপতি মনে করছেন এখন স্পিনে নজর দেওয়া উচিৎ ক্রিকেটারদের।
 
পাপন বলেন, ‘এবারই আসলে প্রথম আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমাদের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে যে দুর্বলতা ছিল সেটা এখন আর ওভাবে চোখে পড়ে না, বরং এখন মনে হচ্ছে যে স্পিনের দিকেই একটু বেশি নজর দিতে হবে।’ ডারবানে স্পিনে ভরাডুবির পর পোর্ট এলিজাবেথেও পুনরাবৃত্তি। সিমন হার্মার-কেশব মহারাজের স্পিন বিষে নীল হয়েছে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের ৪০ উইকেটের মধ্যে ২৯ বারই এই দুই স্পিনারের কাছে ধরা খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোন পথে হাঁটবে বিসিবি? স্পিন উইকেট, পেস উইকেট নাকি স্পোর্টিং উইকেট? বিসিবি সভাপতি প্রত্যাশা করেন স্পোর্টিং উইকেটই হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশল কি হবে, সেটা তো এখন বলা সম্ভব নয়। আমাদের পেসে দুর্বলতা ছিল, আমাদের শক্তির জায়গা ছিল স্পিন, এখন আমরা দুর্বলতাটাকে কাটিয়ে ওঠতে পেরেছি। আমাদের পেস বোলাররা এই মুহূর্তে ভালো বল করছে। আমাদের বেশ কিছু অপশন আছে। তাই আমি মনে করি, এখানে স্পোর্টিং উইকেটই হবে।’ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ সফরে আসবে ৮ মে। ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৩ মে থেকে ঢাকায়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।