• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৫

শেখ জামালের প্রথম শিরোপা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবার শিরোপা জিতল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেন মুশফিক-ইমরুল-নুরুল হাসান সোহানরা। আগের ম্যাচেই শিরোপা নিশ্চিত হতে পারত শেখ জামালের। প্রাইম ব্যাংকের কাছে হেরে শিরোপার উদ্‌যাপন পিছিয়ে যায় দলটির। ডিপিএলে এটিই শেখ জামালের প্রথম শিরোপা। ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ জামাল। লিগে এখনো ১ ম্যাচ বাকি আছে তাদের। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ২২৯/৬ রানে আটকিয়ে দিয়ে ১৮ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দলটি। 
 
তানজীম হাসান সাকিবকে কাভার ড্রাইভ করে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ৪ রান নিয়েই মুঠো পাকিয়ে বাতাসে ঘুষি দিলেন নুরুল হাসান সোহান। ততক্ষণে সতীর্থরা ডাগআউট থেকে ছুটে এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন তাকে। শেখ জামালের আজ উৎসবে ভাসার দিন। সোহানের হার না মানা ৮১ রানের ইনিংসের কল্যাণে আবাহনীকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শেখ জামাল। বিপদের মুহূর্তে দলের কাণ্ডারি হয়ে দাঁড়িয়ে যান সোহান। এরপর মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। সোহান মাঠে আসার পর ইমরুল কায়েস ১৫ ও রবিউল ইসলাম ৩ রান করে ফেরেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পারভেজ রসুলকে নিয়ে শুরু হয় সোহানের লড়াই। দুই জনে থিতু হয়ে উল্টো আবাহনীর উপর চাপ বাড়িয়ে দেন। তাদের জুটি থেকে আসে ৭২ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রসুল। তিনি ৪০ বলে ৩৩ রান করেন। কিন্তু সোহানকে টলানোর মতো যেন কোনো বোলার ছিল না আবাহনীতে।  এক প্রান্ত আগলে রাখেন। দৃষ্টিনন্দন চার-ছয়ে মাতিয়ে রাখেন শের-ই-বাংলা। ৬১ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে দেখা পান ফিফটির। রসুল ফিরলে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে শুরু হয় সোহানের ২য় যুদ্ধ। দুজনে ৮২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। ৮ চার ও ২ ছয়ে সোহান ৮১ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর ৪ চার ও ২ ছয়ে জিয়া খেলেন ২৬ বলে ৩৯ রানের দারুণ ক্যামিও। 
 
টস জিতে ব্যাটিং নেয়া আবাহনী ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১৬ রান করে ফেরেন পারভেজ রসুলের শিকার হয়ে। লিটন দাস ৪  আর নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রান করে আউট হন। এরপর প্রতিরোধ গড়েন তৌহিদ হৃদয় আর আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে ৩৯তম ওভারের শেষ বলে মিড অনে শেখ জামাল অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হন হৃদয়। ৭৫ বলে ৪ চারে ৫৩ রান করেন তিনি। তারপর সাইফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আফিফ। ৪৪ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মোসাদ্দেক হোসেন থিতু হয়েও ফেরেন ১৫ রান করে।
 
১৫৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আবাহনীকে রক্ষা করেন সাইফউদ্দিন আর জাকের আলী অনিক। দুজনে ৭৫ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। তাতে ২২৯ রানের লড়াকু স্কোর পায় আবাহনী। শেখ জামালের হয়ে ২ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান।
দেশকণ্ঠ/রাসু
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।