• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:২৯

বিদ্যুৎ গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ভর্তুকির চাপ কমাতে তিন খাতে দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা হিসাব দেখিয়ে বলেছে, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম না বাড়ালে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই তিন খাতে ৫০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা শুধুমাত্র ভর্তুকি হিসেবে দিতে হবে। ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়াতে হবে। এরপরই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দাম সমন্বয় না করা হলে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতেই ভর্তুক দিতে হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। গ্যাসের দাম না বাড়ালে এলএনজি আমদানি ব্যয় পরিশোধ এবং প্রণোদনা প্যাকেজের সুদ ভর্তুকি এবং অন্যান্য ভর্তুকি বাবদ আগামী অর্থবছরে ১৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন পড়বে। একইভাবে সারের দাম না বাড়ালে এই খাতে ভর্তুকি দিতে হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
 
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলছেন, আগামী অর্থবছরে যদি বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম সমন্বয় না করা হয়, তাহলে উল্লেখিত পরিমাণ ভর্তুকি কার্যকর হবে।  বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানো হলে ভর্তুকির পরিমাণ কমতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে এই তিন খাতে দাম কতটা  সমন্বয় করা সম্ভব হয় তার উপর। তবে এখনই দাম সমন্বয় না করা হলেও বাজেট শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের শুরতে দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে, আগামী বাজেটে খাদ্য খাতে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের হিসাব মতে, চলতি অর্থবছরে খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩২ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে খাদ্যশস্য বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩২ দশমিক ৭৫ লাখ মেট্রিক টন। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রতি বছরই ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে।  বিশেষ করে বিদ্যুৎ, কৃষি ও জ্বালানি খাতে বর্ধিত হারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে। প্রায় প্রতি বছরই মূল বাজেটে বরাদ্দের অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে। যেমন-চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মূল বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় ১২ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে এই দুই খাতে দিতে হয়েছে ৫৩ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।
 
সূত্র জানায়, করোনা পরবর্তী চাহিদা বেড়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দামের উর্ধ্বগতি এবং সবশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে  গেছে। ফলে ভর্তুকির চাপও বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে ভর্তুকির চাপ আরও যে বাড়বে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এই চাপ অর্থনীতি কিভাবে নিতে পারবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। অর্থ বিভাগের প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ- এ তিন খাতে একত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ২৭ হাজার ৯১০ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে এ তিন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, নতুন বাজেটে ভর্তুকির চাপ কমাতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নাই। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।