• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৬

আশা জাগিয়েও মাথা উঁচু করা ড্র

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম হাত ঘুরানোর সুযোগ পেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ঠিকঠাক প্রথম বলটা করলেন অফস্পিনার। দেখেশুনে খেলেছেন নিরোশান ডিকবেলা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে এক বলেই শেষ তার স্পেল! দ্বিতীয় বলের আগে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রত্যাশিত ফল ড্র মেনে নেন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। ডিকবেলার দেওয়া ড্রয়ের প্রস্তাবে মাঠে থাকা মুমিনুল সাড়া দেওয়ায় ৪৯ মিনিট আগে শেষ চট্টগ্রাম টেস্ট। তখন মিড অনে ফিল্ডিংয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল কভারে। আম্পায়ার স্টাম্প নিচে ফেলার পর দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেন কিছুক্ষণের জন্য। কয়েক সেকেন্ডের আলাপও হয়ে যায়। এই টেস্টের আগে দুজন ৫ হাজার রানের লড়াইয়ে ছিলেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তামিম ১৩৩ রান তুলে ১৯ রানে জন্য এই ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে পারেননি। মুশফিক ১০৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে নিজের নাম লিখে ফেলেন। পিঠ চাপড়ে তামিম হয়তো মুশফিককে আরেকবার অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুশফিক হয়তো ফিরতি ভালোবাসা দিয়েছেন। দেশের হয়ে প্রথম এমন কীর্তি করায় স্মারক হিসেবে ম্যাচ স্টাম্প সংগ্রহ করেছেন এ ব্যাটসম্যান। ডিকবেলাও ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে তুলে নেন একটি স্টাম্প। সেটা অবশ্য নিজের জন্য নয়। সতীর্থ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ১৯৯ রান করেছিলেন প্রথম ইনিংসে। ১ রানের জন্য ডাবল মিস করলেও তার স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে চট্টগ্রামের এ ম্যাচ। আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৯ রানের সঙ্গে আজ ২২১ রান যোগ করতে আরো ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে তাদের রান ৬ উইকেটে ২৬০। তাইজুল আগের দিনের একটির সঙ্গে আজ আরো ৩ উইকেট পেয়েছেন। তার স্পিন ছোবলে লঙ্কানরা কিছুটা পথ ভুললেও দিনেশ চান্দিমাল ও ডিকবেলার ৯৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ভাঙার কোনো উপায় জানা ছিল না কারও। তাইতো চা-বিরতির এক ঘণ্টা আগে-পরে তাদের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ড ছিল সচল।
 
চট্টগ্রামে শেষ দুই টেস্টেই হেরেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর পাকিস্তানের সঙ্গেও পেরে উঠেনি। দেশের মাটিতে শেষ চার টেস্টেই আবার হার। দুটি করে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের কাছে। সেখানে শ্রীলঙ্কা সবশেষ দুই টেস্টে ভারতে মাটিতে হারলেও ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাস্তানাবুদ করে। চট্টগ্রামে মাঠে নামার আগে দলগতভাবে বেশ শক্তিশালী অবস্থানেই ছিল তারা। আর দেশে ও দেশের বাইরে টানা খারাপ সময় কাটানো বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস ছিল তলানিতে। সেখান থেকে পাঁচদিন লড়াই করে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট ভাগাভাগি করা নিশ্চিতভাবেই বড় কিছু। তাইতো মাথা উচুঁ করেই মাঠ ছেড়েছেন মুমিনুলরা। এ টেস্টে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের ধারাবাহিকতা নিয়ে গর্ব করতে পারে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে তামিমের ১৩৩, মুশফিকের ১০৫ বাংলাদেশের আশার প্রদ্বীপ জ্বালিয়েছে। সঙ্গে লিটন ও জয়ের ফিফটিতে বেড়েছে বড় কিছুর আশা। মিরাজের জায়গায় নাঈম এসে পেয়েছেন ‘ওয়ালটন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’-এর পুরস্কার। প্রথম ইনিংসে তার ৬ উইকেটে অতিথিদের বড় স্কোর করতে দেয়নি বাংলাদেশ। সঙ্গে সাইডবেঞ্চের শক্তি পরীক্ষাতেও সফল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে চোখে আঙুল দিয়ে পেসাররা আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশের মাটিতে সাফল্যের জন্য তাদের আরো উন্নতি করতে হবে। ইবাদতকে ডিঙিয়ে দলে সুযোগ পাওয়া খালেদের বোলিংয়ে ছিল না কোনো ধার। অহরহ লাইন ও লেন্থ হারিয়েছেন। শরিফুলের বোলিংও ছিল গড়পড়তা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রে এটি বাংলাদেশের প্রথম ড্র। তাতে মিলেছে ৪ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১৬। নিউ জিল্যান্ডে জেতায় মিলেছিল ১২ পয়েন্ট। ৫ ম্যাচে ২টি করে জয় ও পরাজয়ে এবং এই ড্রয়ে শ্রীলঙ্কা পয়েন্ট ২৮। চট্টগ্রামে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে লড়াই শেষ হলেও ঢাকায় ম্যাচের ফল বের হতে পারে। হোম অব ক্রিকেটে সবশেষ ড্র হয়েছিল ৭ বছর আগে। আর এই সময়ে ৮ টেস্টে ৫টিতে জেতা বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া ম্যাচটা জিতলে সিরিজটাও হয়ে যাবে মুমিনুলদের। সেই অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে কয়েকটি দিন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।