• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৮:১৫

দুই দশকে ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশ

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশের প্রায় সব নদ-নদীর তীর উপচে পড়ছে। যে কারণে গত প্রায় দুই দশকের মধ্যে এবারই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভারতের বরাক নদীতে নির্মিত একটি বড় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দেশটির উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বন্যার পানিতে সিলেটের জকিগঞ্জের অন্তত ১০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ বন্যায় আটকা পড়েছেন’, বলে জানিয়েছেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে কমিশনার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বন্যায় চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছেন। বাংলাদেশের অনেক এলাকা বন্যাপ্রবণ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রত্যেকটি অতিরিক্ত মাত্রা বায়ুমন্ডলে পানির পরিমাণ প্রায় সাত শতাংশ বৃদ্ধি করে; যার অনিবার্য প্রভাব বৃষ্টিপাতের ওপর পড়ে।
 
জকিগঞ্জের ৫০ বছর বয়সী বাসচালক শামীম আহমেদ এএফপিকে বলেছেন, ‘আমার বাড়ি কোমর সমান গভীর পানিতে তলিয়েছে।  পানের মতো পানি নেই, আমরা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছি।’ ‘বৃষ্টি এখন একই সাথে আমাদের জন্য আশীর্বাদ এবং অভিশাপ।’ পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় লোকজনকে মাছ ধরতে দেখা গেছে এবং কিছু কিছু বাসিন্দা গবাদি পশুকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। বিধবা লায়লা বেগমের বাড়ির সব আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরও বন্যার পানি দুই এক দিনের মধ্যে কমে যাবে এমন আশায় দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। লায়লা বেগম বলেছেন, ‘আমার দুই মেয়ে এবং আমি একটি বিছানার ওপর অন্য বিছানা রেখেছি এবং এর ওপর বাস করছি। আমাদের খাবারের সংকট। আমরা দিনে একজনের খাবার তিনজন ভাগাভাগি করছি এবং মাত্র একবেলা খাচ্ছি।’ বন্যার পানি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তর সিলেট শহরের অনেক জায়গায় প্রবেশ করেছে। সেখানকার অন্য একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, প্রায় ৫০ হাজার পরিবার গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। কমিশনার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যের বৃষ্টি এবং সীমান্তের ওপার থেকে আসা পানির প্রবাহ— এই দুই কারণেই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পানির স্তর নেমে গেলেই কেবল জকিগঞ্জ সীমান্তের ভাঙা বাঁধটি মেরামত করা যেতে পারে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।