• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:২৫

কুতুব মিনার নিয়ে বিতর্ক এবার

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুতুব মিনার কে নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে এবার ভারতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নতুন করে এই বির্তকে উস্কে দিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন এক কর্মকর্তা। তার দাবি, কুতুব উদ্দিনের আইবেকের নির্দেশ নয় বরং সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নির্দেশ এটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সাবেক কর্মকর্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো দাবি করছে, কুতুব মিনারের মধ্যে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে, তাই মিনার সংলগ্ন এলাকায় খনন করা উচিত। সম্প্রতি ধর্মবীর শর্মা নামের সাবেক ওই কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, রাজা বিক্রমাদিত্য সূর্যের গতিবিধি নিয়ে চর্চার জন্য এই মিনার তৈরি করেছিলেন। কুতুবুদ্দিন আইবেক এটি নির্মাণ করেননি। এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছিল, কুতুব মিনারের প্রকৃত নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। এই মিনার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে নেওয়া নির্মাণ সামগ্রী। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা এই মিনার নির্মাণ করেছিল।  
 
নতুন করে বিতর্ক শুরু হওয়ায় সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দমোহন শনিবার কুতুব মিনার এলাকার পরিদর্শন করেন। তিনি তিন জন ইতিহাসবিদ, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের চার কর্মকর্তা এবং কয়েকজন গবেষককে নিয়ে ওই চত্বর পরিদর্শন করেন। খনন ও সমীক্ষার পর তার রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। মিনারের দক্ষিণ অংশে মসজিদ থেকে ১৫ মিটার দূরে ওই খনন শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য রোববার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুতুব মিনারের খনন কাজ শুরু হবে- এ জাতীয় নির্দেশ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী দলগুলো দাবি করেছে, তাজমহল জয়পুর রাজপরিবারের সম্পত্তি। জোর করে সম্রাট শাহজাহান জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেছেন। গত মাসে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও দাবি করা হয়েছে, ওই মসজিদের ভেতরে রয়েছে শিবলিঙ্গ। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।