দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে উঠেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। ২৫ মে রাতে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বেঙ্গালুরু আগে ব্যাট করে রজত পতিদারের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে। এরপর শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে লক্ষ্ণৌকে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বেশি করতে দেয়নি। তাতে ১৪ রানের দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে যাওয়ার আশা বেঁচে থাকে আরসিবি’র। শুক্রবার ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু। এদিন টস জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় লক্ষ্ণৌ। দলীয় ৪ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। মহসীন খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। তবে বিরাট কোহলি ও রজত পতিদার দ্বিতীয় উইকেটে ৬৬ রান তোলেন।
দলীয় ৭০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রানে আভেস খানের বলে মহসীন খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি। নতুন ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৮৬ রানের মাথায় ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে আউট হন অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার। ৯টি রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১১৫ রানে মহীপাল লোমরের উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। ১৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রবি বিষ্ণই। এরপর রজত ও দিনেশ কার্তিক মিলে ৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে ২০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেন। ওয়ান ডাউনে নামা রজত শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১২ রানে। যা তিনি ৫৪ বল মোকাবিলায় ১২টি চার ও ৭ ছক্কায় করেন। আর ২৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রান করেন কার্তিক।
২০৭ রান তাড়া করতে নেমে ৮ রানে প্রথম ও ৪১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। প্রথমে কুইন্টন ডি কক (৬), পরে মানান ভোহরা (১৯) আউট হন। এরপর দলকে জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল ও দীপক হুদা। তারা দুজন তৃতীয় উইকেটে ৯৬ রান তুলে ভক্ত-সমর্থকদের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন। ১৩৭ রানের মাথায় ২৬ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ রান করে হুদা আউট হন। তারপরও রাহুলের ব্যাটে স্বপ্ন দেখছিল লক্ষ্ণৌ। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু এই তিন ওভারে হার্শাল প্যাটেল ও জশ হ্যাজলেউড দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে আটকে দেন লক্ষ্ণৌকে। চাপের মুখে হার্শালের ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ফেরেন মার্কাস স্টয়েনিস (৯)। এরপর হ্যাজলেউডের করা ১৯তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে লোকেশ রাহুল ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ফিরলে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইটির। রাহুল ৫৮ বলে ৩টি চার ও ৫ ছক্কায় ৭৯ রান করেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রান প্রয়োজন ছিল লক্ষ্ণৌর। কিন্তু হার্শালের করা ওভারটিতে তারা ৯ রানের বেশি নিতে পারেনি। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সেঞ্চুরিয়ান রজত পতিদার।
দেশকন্ঠ/অআ