বাংলাদেশের সমাজে সালাম দেওয়া- ভদ্রতা, সৌজন্যতা, অপরের কল্যাণ কামনা করার ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক এ রীতি ও আদর্শ খুব সাবধানে প্রয়োগ করতে হয়।কে কাকে সালাম দিবে সেটা পরিবার শেখায় মূল মন্ত্র হল ' যাকে ভালো লাগে তাকে সালাম দিবে '। কোন কারণে মনে দাগ কাটলে বা ভালো না লাগলে সালাম দিবেও না নিবেও না! এই বাজে শিক্ষাটা পরিবার ও সমাজ খুব ভালোভাবে দিয়ে থাকে। ভালো লাগে না তাই তার কল্যাণ কামনাও করে না! দেখা হলে গায়ে গা স্পর্শ হলেও সালাম দিবে না। ফলে দেখা যায় কোন কারণে পিতা মাতাকে সন্তানও সালাম দেয় না অর্থাৎ শান্তি কামনা করে না! সালাম কে কাকে দিবে এ নিয়েও দারুন ব্যাপার আছে বয়সে যিনি ছোট তিনি আগে সালাম দিবেন। অনেক বড় ভাই আছেন যারা বলে, 'তুই সালাম দিলি না ক্যান?' রীতিমত কৈফিয়ত তলব এবং মারধর করেন সে বড়ভাই। বয়স্ক লোককে কোন জুনিয়র সালাম না দিলে সে জুনিয়রকে রীতিমত বেআদব ঘোষনা করে এবং পিতা মাতা ও পরিবার নিয়ে কথা শুনিয়ে দেয়। এরকম একটি ঘটনা, রাতে খাবার সময় বাবা জিজ্ঞেস করলেন আজিজ তুমি কাকে সালাম দাও নি? আমি ধন্ধে পরে গেলাম, কোন কিছু বুঝলাম না! বাবা বললেন, তুমি অমুক জায়গায় যখন সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলে তখন অমুক আমার পরিচিত তোমাকে দেখেছে। তুমি সালাম দাও নি সে কথা আমাকে বলল।' আমি বললাম, `আমি ত ওনাকে চিনি না আর ঐ এলাকা আমাদের গ্রাম থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে আমি কাউকেই চিনি না!' এরকম কিছু চিনে এমন লোক আছে যারা সালাম না পেয়ে অভিযোগ করে। মুরব্বিরা প্রত্যাশা করে তাকে সালাম দিবে ইজ্জত করবে।
দেশকণ্ঠ/আসা