• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:০৪

টানা ৯ ইনিংসে দশের নিচে আউট মুমিনুল

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : একে তো রান পাচ্ছেন না, ভাগ্যও তার পাশে নেই। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ধরণটাই দেখুন। বলের জায়গায় ব্যাট নিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ব্যাট প্যাডে আঘাত করায় বলের নাগালই পাননি মুমিনুল। সেখানেই শেষ নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আবেদনে আম্পায়ার জোয়েল উইলসন সাড়া দেন। মুমিনুল সতীর্থ জয়ের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন। এখানেও ভাগ্য তার পাশে নেই। বল ঠিকঠাক মতো পিচ করলেও বাক খেয়ে উইকেট থেকে সরে যাচ্ছিল। বলের অর্ধেক অংশ স্টাম্পে আঘাত করেছিল। আম্পায়ার নট আউট দিলে মুমিনুল বেঁচে যেতেন। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেওয়ায় মুমিনুলকে সাজঘরে ফিরতে হয়। 
 
রান খরা থাকায় বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্টের আরেকটি ব্যর্থ ইনিংস। প্রথম ইনিংসের শূন্যর পর এবার মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসল ৪ রান। তার আউটের ধরণ, অফ ফর্ম, ব্যাটিং মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছে রান করাই যেন ভুলে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পায়ের উপরের বল তার শক্তির অন্যতম জায়গা। অথচ সেই বলগুলোতেই আউট হচ্ছেন মুমিনুল। রাউন্ড দ্য উইকেটে তার দূর্বলতা ছিল না। অনায়েসে সেগুলো ড্রাইভ করতে পারতেন। কিন্তু ২০১৯ থেকে মুমিনুল ২২ ইনিংসে সাতবার আউট হয়েছেন রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে। মায়ার্স সেই ফাঁদ পেতেই তাকে আউট করেছেন। আউট হওয়া বলের আগে অ্যাওয়ে সুইংয়ে বল বাইরে নিয়েছেন। হঠাৎ একটা-দুটা বল ভেতরে এনেছেন। সেটাতেই সাফল্য। এটাকে শুধুমাত্র দূর্বলতা বললেও ভুল হবে। মনোযোগে যে ঘাটতি রয়েছে তা স্বীকার করে নিতে হবে। মুমিনুলের বছর শুরু হয়েছিল নিউ জিল্যান্ডে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। এর আগের বছরও ভালো না কাটায় মনে হচ্ছিল চলতি বছর তার ভালো কাটবে। অন্তত শুরুটা যখন ভালো করেছেন তখন ভরসা তো রাখাই যায়। কিন্তু কিসের কি! ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় যাচ্ছে তার। মুমিনুলের রানের গাড়ি চলছে ব্যাক গিয়ারে। মাউন্ট মঙ্গানুইতে ৮৮ রানের ইনিংসের পর ১২ ইনিংসে তার মোট রান ৭৮! এ সময়ে চার ইনিংসেই রানের খাতা খুলতে পারেননি। দশ ইনিংসে যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। সবশেষ টানা নয় ইনিংসে একই দুর্দাশা। সর্বোচ্চ রান ৩৭, যেখানে ইনিংসের শুরুতেই পেয়েছিলেন জীবন।
 
সাদা পোশাকে বাংলাদেশের গর্বের অন্যতম জায়গা ছিলেন মুমিনুল। তাকে আচমকা অধিনায়ক করার পর ব্যাটিংয়ে বড় প্রভাব রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সিরিজের আগে নিজ থেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু রানে ফেরা হলো না তার। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজে কখনোই রান পাননি মুমিনুল। ক্যারিয়ারের ৫৪ টেস্টের ৫টি খেলেছেন ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে। যখোনে তার রান সর্বমোট ১৪২। সর্বোচ্চ রান ৫৬। অন্তত ৫ টেস্ট খেলা দেশগুলোতে মুমিনুল ওয়েস্ট ইন্ডিজেই সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন। সেখানে তার গড় রান কেবল ১৪.২০। নিউ জিল্যান্ডে ৩০.০, শ্রীলঙ্কায় ৪৯.৮৭ গড়ে রান তুলেছেন। আগে মুমিুনলের ব্যাটিংয়ে নামা মানেই রানের ফুলঝুরি ছোটানো। একটা সময়ে টানা ১২ টেস্টে ফিফটির বিশ্বরেকর্ড ডাক দিচ্ছিল তাকে। একটুর জন্য পারেননি। তবে সেই ধারাবাহ্তিা মুমিনুল দেখিয়েছেন পরবর্তীতেও। তাইতো একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়েছে। ব্যাট হাতে ২২ হজে দোর্দন্ড প্রতাপ দেখানো সেই ব্যাটসম্যানই এখন রীতিমত ভুগছেন। এই ভোগার শেষ কোথায়?
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।