দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সুনামগঞ্জের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিভাগীয় শহর সিলেটেও বন্যার প্রকোপ অনেক। সিলেটের অনেক উপজেলা ও শহরের বাড়ি-ঘর পানিবন্দী। বন্যার্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়াম, ক্রিকেট প্যাভিলিয়ন এবং ক্রীড়া ভবন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আশ্রয় প্রত্যাশীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম বলেন, ‘সিলেটের অনেক মানুষ কষ্টে আছে। নিরাপদ স্থানের সংকট। আমরা সীমিত সাধ্যের মধ্যে ক্রীড়া স্থাপনাগুলো মানুষদের থাকার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।’ গতকাল সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকের মধ্যে অনেকেই সিলেট স্টেডিয়ামে এসেছেন আশ্রয়ের খোঁজে।
সিলেটে চলমান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই সিলেট জেলা ফুটবল দল আজ মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার উদ্দেশ্যে। সিলেট যখন বন্যার মধ্যে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে বাফুফে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্ব শুরু করে মাদারীপুরে। এই পরিস্থিতিতে গত আসরের রানার্স আপ সিলেট দলের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমাদের সিলেটবাসীদের খেলার মতো মানসিকতা নেই। অনেকের বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত আবার অনেকের কর্মস্থল বা আত্মীয় স্বজন বন্যায় প্লাবিত। এর মধ্যেও বাফুফে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করছে। খেলোয়াড়রা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আজ সকালে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয়েছে। প্রায় ২০ জনের মতো দল একটি গাড়ি করে রওনা হয়েছে।’ আগামীকাল সোমবার দুপুর দেড়টায় কুমিল্লা জেলা দলের সঙ্গে সিলেট জেলা দলের ম্যাচ। আজ সিলেট থেকে রওনা হয়ে মাদারীপুর পৌঁছাতে মধ্যরাত হয়ে যেতে পারে। এজন্য সিলেট ডিএফএ তাদের আগামীকালের ম্যাচটি দুপুর দেড়টার পরিবর্তে বিকেল সাড়ে তিনটায় দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। বাফুফের কম্পিটিশন বিভাগ অবশ্য সিলেটের ম্যাচটি দেড়টাতেই রেখেছে।
দেশকন্ঠ/অআ